কলকাতা: শরীর কিন্তু ঝেড়ে কাশে। কেশে জানান দিতে চায় আমাদের ভিতরের রোগের কথা। কাশি কখনও বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে। আবার কখনও বা সামান্য অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে। কিন্তু কখন বুঝব কাশি কেন হচ্ছে। কখন সতর্ক হব আর কখন চিন্তা না করলেও চলবে ? এই বিষয়েই এবিপি লাইভের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন ফর্টিস হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ


কাশি কেন হয় ?


আমাদের শ্বাসনালিতে কোনও কিছু বাধা তৈরি করলেই কাশি হয়। কাশি এই বাধা সরানোর চেষ্টা করে। বাধাকে সরিয়ে গোটা শ্বাস প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। যতক্ষণ না বাধা সরছে, ততক্ষণ কাশি হতে থাকে।


কাশির আছে রকমফের !


অ্যালার্জি বা ভাইরাল কাশি: সবচেয়ে প্রাথমিকভাবে যে কাশি দেখা যায়, তার সঙ্গে সাদা রঙের শ্লেষ্মা বেরোয়। এটি সাধারণত অ্যালার্জি বা ভাইরাল রোগের কারণে হয়ে থাকে। 


ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: ফুসফুস বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণেও কাশি হতে পারে। তবে এই সংক্রমণে কফের রং সবুজ বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।


কাশির সঙ্গে রক্ত: অনেক সময় কাশির সঙ্গে রক্তও পড়তে থাকে। এক্ষেত্রে কখন সতর্ক হতে হবে? জয়দীপ জানাচ্ছেন, এই কাশি দুই ধরনের হতে পারে।



  • অল্প সময়ের জন্য অল্প রক্ত: একরকম হল অল্প সময়ের জন্য কাশি। এক্ষেত্রে যদি অল্প রক্ত বার হয়। তাহলে অধিকাংশ সময়েই চিন্তার কিছু থাকে না। কাশি এক থেকে দুই দিন স্থায়ী হয়। কফের মধ্যে রক্ত এক-দুই ফোঁটা থাকে। এই রক্ত গলা চিড়ে গেলে কফের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। তবে এক দুই ফোঁটার বেশি রক্ত বেরোলে তা চিন্তার ব্যাপার।

  • বেশি সময়ের জন্য বেশি রক্ত: বেশি সময় ধরে কাশি চললে তা চিন্তার কারণ হতে পারে। কারণ এই ধরনের কাশি টিবি বা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এছাড়াও, কাশির সঙ্গে রক্ত বেরোলে তা আরও মারাত্মক। সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


কখন চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে ?


কাশির দমক খুব বেশি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এক-দুই দিন পর হালকা কাশি হলে না গেলেও চলে। তবে দুই-তিন সপ্তাহ ধরে কাশি হলে সতর্ক হতে হবে । যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Early Dementia: বয়স না হলেও কাবু করতে পারে আর্লি ডিমেনশিয়া ! ঝুঁকি বাড়ছে এই ৫ কারণে