Dark Chocolate Benefits And Risks: চকোলেট মানেই ছোটদের খাওয়ার জিনিস, তা নয়। বরং বড়রাও এটি খেতে পারেন। বিএষ করে ডার্ক চকোলেট। কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী। ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে হার্টের রোগ কমানোর মতো পুষ্টিগুণও থাকে। কিন্তু এই চকোলেট খেলে কী কী উপকার? আর কতটা খাবেন ? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।


ডার্ক চকলেটের হরেক গুণ


ইনসুলিন রেসিসটেন্স কমায় -  ইনসুলিন রেসিসটেন্স মানে শরীরের কোশ আর ইনসুলিন তৈরি করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ে রক্তের সুগার মাত্রার উপরে গিয়ে। রক্তের সুগার এই সময় বেড়ে যায়। ডার্ক চকোলেট ইনসুলিন রেসিসটেন্স কমিয়ে দেয়।


পলিফেনলে ভরপুর -  হার্টের জন্য বিশেষভাবে জরুরি পলিফেনল। এটি রক্তের কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে। 


এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় - পলিফেনল ও থিওব্রোমাইন একদিকে যেমন রক্তের এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।


অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের যম - ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে কিছু জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। ফলে কোশ নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়।


ফ্রি র‌্যাডিকেল কমায় -  রক্তের মধ্যে যত ফ্রি র‌্যাডিকেল থাকে, ততই বাড়ে স্ট্রেস। এই ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলিকে নির্মূল করে ফ্ল্যাভনল ও পনিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি।


নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়ায়  - প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে ডার্ক চকোলেট। এর পুষ্টিগুণ শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তনালিগুলি প্রসারিত হয়ে যায়। যা রক্ত চলাচল সহজ করে দেয়। নিয়ন্ত্রণে রাখে প্রেশার।


ইনফ্লেমেশন কমায় - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মতো সমস্যা হতে থাকে। প্রদাহজনিত রোগ ক্রনিক হয়। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ শরীরে থাকে। এর জেরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থারাইটিসের মতো রোগ একে একে দেখা দিতে শুরু করে। ডার্ক চকোলেটের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান এই ইনফ্লেমেশন কমিয়ে দেয়।


কতটা খাবেন ডার্ক চকোলেট ?


রোজ ২০-৩০ গ্রাম চকোলেটই যথেষ্ট বলে জানাচ্ছেন একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ডার্ক চকোলেটে দুধের পরিমাণ কম থাকে। বরং বিশুদ্ধ চকোলেটের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই অন্যান্য চকোলেটের তুলনায় এটি বেশি ভাল।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Fish Oil: মাছের তেল খাওয়া ভাল ? কী হয় শরীরে ?