কলকাতা: পরীক্ষা যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে। পড়া মনে রাখতে গিয়েও সব মনে থাকছে না। এটা পড়লে ওটা বেরিয়ে যাচ্ছে মাথা থেকে। ওটা পড়লে এটা খেয়াল থাকছে না। পরীক্ষার সময় স্ট্রেস থেকে এমন নানা ঘটে থাকে। তার উপর জীবনের বড় পরীক্ষা যেমন উচ্চমাধ্যমিক বা বোর্ড হলে তো কথাই নেই। সেই সব ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় পরীক্ষার স্ট্রেস থেকে এমন সমস্যা হয়। তবে সমস্যাটি সামাল দেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে। এমনই কিছু উপায়ের খোঁজ রইল এখানে।


একটি বাস্তবসম্মত রুটিন করে নিতে হবে - পরীক্ষার পড়া আর সারা বছরের পড়া আলাদা। তাই পড়তে বসার আগে একটা বাস্তবসম্মত রুটিন করে নিতে হবে। সেই রুটিন মেনে পড়লে পড়া ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম। বাস্তবসম্মত রুটিন কী ? পরীক্ষার সময় বেশি পড়ার সময় কম। তাই যতটুকু দরকার, ততটাই পড়ব। কোন ধরনের প্রশ্ন বেশি আসে, তা ভাল করে লক্ষ রেখে পড়া। এতে তুলনামূলকভাবে চাপ কম।


মনোসংযোগ করার ব্যয়াম - পরীক্ষার আগে আমাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এই দুশ্চিন্তা কমাতে মন স্থির করার ব্যায়াম করতে পারেন। এর জন্য যোগব্যায়াম, ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ, ধ্যান করতে পারেন পড়ুয়ারা।


নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া - জীবনের একট বড় পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক বা বোর্ড পরীক্ষা। তাই এই পরীক্ষার আগে খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানতে হবে। বাইরের ভাজাভুজি, ফাস্টফুড, ঠান্ডা পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা ঋতু পরিবর্তনের সময়।


নিয়ম মেনে ঘুম -  পরীক্ষার আগে নানা কারণে আমাদের ব্রেনে বেশি চাপ পড়ে। তাই এর যথাসাধ্য বিশ্রামও দরকার। এই সময় ঘুম কমিয়ে পড়লে লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে। তাই অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা নিয়মিত ঘুম জরুরি। ব্রেন ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলে পড়া মনে রাখা কঠিন। তাই এদিকে অবহেলা করলে চলবে না।


নিজেকে নিজে উৎসাহ দিতে হবে - যখনই আমরা দুশ্চিন্তা করি, তখনই নিজেকে অবহেলা করি। নিজে ভুলগুলিকে বড় করে দেখি। এটা নিজেকে সংশোধন করতে অবশ্যই দরকার। কিন্তু বারবার ভুলগুলিকে দেখতে থাকলে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে। তাই নিজেকে নিয়ে মনে মনে ভাল কথা ভাবতে হবে। আমি চেষ্টা করব। আমি পারব - এই বিশ্বাসটা রাখা জরুরি। 


আরও পড়ুন - Heath Facts: ‘খাবার খেয়ে খাবেন’ - কিছু ওষুধের জন্য এমন নিয়ম কেন ?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI