কলকাতা: কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়া এক। আর কাজ করতেই ইচ্ছ করে না, সে আরেক। অনেকেই কাজ করার ঠিকমতো উৎসাহ পান না। সোজা বাংলায় বলতে গেলে ‘ল্যাদ’ লাগে। অর্থাৎ আলস্য পেয়ে বসে যেন। এই সমস্যার মোকাবিলা করবেন কীভাবে ? এর জন্য অলসতার কিছু দিক মনে রাখা জরুরি। সেগুলির সমাধান পেলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ।


কেন অলস হই ?



  • এক দল বিশেষজ্ঞদের কথায়, আমরা নিজেদের খুব বেশি সমালোচনা বা ‘জাজ’ করি। ভালোর বদলে প্রায়ই মন্দটা ভাবি। এমনকি কোনও কাজ না পারলে তার জন্য তিরস্কার করি নিজেদের। এর থেকেই কাজের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়েন অনেকে। এই বিমুখতারই আরেক নাম আলস্য।

  • অনেকের ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বা ওভারকনফিডেন্স। ঠিক পারব বা হয়ে যাবে এই ভেবে অনেকে কাজ ফেলে রাখেন। দেরি করে কাজটি শুরু করেন। এর ফলে বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, কাজটি ঠিকমতো হল না। বা হলেও তাতে অনেক ভুল ভ্রান্তি থেকে গেল। এই গোটা ব্যাপারটার পিছনে অলসতার বড় ভূমিকা রয়েছে।


অলসতা কাটবে কীভাবে?



  • অল্প করে কাজ - একসঙ্গে গাদা খানেক কাজ করলে হবে না। অল্প করে কাজ নিন। সেটুকুই প্রথমে শেষ করার চেষ্টা করুন। এর পর পরের কাজ নিন। একইভাবে শেষ করুন। প্রথমেই অনেকটা কাজ নিলে কাজ করার ইচ্ছেটা থাকে না। অলসতা কাটে না।

  • নিজেকে উৎসাহ দিন - নিজের সমালোচনা জরুরি। এতে নিজের ভুলগুলি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সমালোচনা যেন আপনার কাছেই আপনাকে ছোট করে না দেয়। তাহলে নিজের ক্ষমতাকেও ছোট করে দেখতে শুরু করবেন। কাজের প্রতি বিমুখ হবেন। অথচ বাস্তবে হয়তো ওই কাজটি করা আপনার পক্ষে খুবই সহজ!

  • অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখুন - হয়ে যাবে, করে দেব - বলে কাজ ফেলে রাখা অলসতারই লক্ষণ। তাই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এলেই একটি সহজ টিপস মেনে চলুন। তা হল কাজের হিসেব করুন। কতটা কাজ করলেন তার হিসেব রাখুন। আপনার কাজই বলে দেবে আপনি কতটা কাজ শেষ পর্যন্ত করে উঠতে পারছেন। 

  • আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন - সারাদিনে কী কী কাজ রয়েছে, তা আগে থেকে পরিকল্পনা করে ফেলুন। এবার সেই মতো কাজ করতে বসুন। সময়টাকেও সেই ভাবে বেঁধে ফেলুন। এতে কাজ সঠিক সময়ে শেষ হবে। অলসতাও কমবে।


আরও পড়ুন - Fasting For Immunity: উপোসেই বাড়ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ! কীভাবে ?