কলকাতা: স্যালাডে বা যেকোনও খাবারের সঙ্গী হিসেবে  ব্যবহার হয়ে থাকে শসা। বিশেষ করে গরমকালে শরীর ভাল রাখতে জুড়ি নেই এই ফলের। জলের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমে শরীরে প্রয়োজনীয় জলের জোগান দিতে পারে শসা। শরীরের ভিতরের সঙ্গে বাইরের অর্থাৎ ত্বকের জন্য উপকারী শসা। তবে শুধু খাওয়াই নয়, আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায় অতি পরিচিত এই ফল।       


কেন এত উপকারী?
শসায় জলীয় পদার্থের পরিমাণ প্রচুর। তা ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। শসায় ভিটামিন ও ফলিক অ্যাসিডের উপস্থিতি রয়েছে। রয়েছে ভরপুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও। এই কারণেই ত্বকের নানারকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে শসা।   


কী কী উপকার?


ব্রণ (acne) বা ত্বকে ফুসকুড়ির সমস্যায় ভোগেন অনেকে। গরমকালে এই সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। এর থেকে মুক্তি দিতে পারে শসা। ত্বকে অতিরিক্ত তেল থাকলে, ত্বকের উপরিভাবে ময়লা জমলে নানাভাবে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটে। সেখান থেকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। নিয়মিত মুখে শসার টুকরো দিয়ে ঘষলে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা সাফ হয়ে যায়। দূরে থাকে ব্রণর সমস্যা।      


শসায় ৯০ শতাংশের বেশিই জল। ত্বকের জন্য যা অত্যন্ত ভাল। ত্বক আর্দ্র রাখে। শসায় ভিটামিন ও নানা খনিজ পদার্থ থাকায় ত্বকের শসার রস মাখলে সার্বিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।  


ক্লান্তি থাকলে সবার আগে তার ছাপ পড়ে মুখে। মুখ ফুলে যায়, চোখের তলায় কালি পড়ে। মুখের ত্বকের জেল্লা ও উজ্জ্বলভাব কমে যায়। এই সময় কাজে আসবে শসা। শসার টুকরো গোল করে কেটে চোখের উপর রেখে বিশ্রাম নেওয়া যায়। টানা বেশ কিছুদিন এমন করলে চোখের তলার কালি কমে যায়। নিজেকেও অনেক বেশি ফ্রেস লাগে।  


নানাভাবে ব্যবহার
ত্বকের পরিচর্যায় বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যবহার করা যায় শসা। শসার টুকরো কেটে মুখে লাগানো যায়। চোখের উপর রাখা যায়। গোল করে শসা কেটে তা দিয়ে মুখে-ঘাড়ে ঘষে নেওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফেস প্যাক, ফেস মাস্কেও ব্যবহার করা যায় শসা। প্যাক তৈরির সময় না থাকলে শসা গ্রেট করে বা থেঁতো করে সেই মিশ্রণও ব্যবহার করা যায়।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমকালে আমলকির রস খাওয়া ভাল নাকি খারাপ?