কলকাতা: সৌন্দর্য হোক বা সুস্থ থাকা, সবক্ষেত্রেই পেশির স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে সুন্দর লাগার পাশাপাশি, সুস্থ থাকতে গেলে, বেশি পরিশ্রমেও ক্লান্ত না হতে চাইলে নজর দিতে হয় পেশির (Muscle) স্বাস্থ্যে। আর সেটা করতে গেলে খেয়াল রাখতে হয় খাওয়া-দাওয়ার। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সুস্থ ও সবল পেশির জন্য সব ধরনের পোষক পদার্থই প্রয়োজন। আমেরিকার একটি সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ স্পোর্টস মেডিসিনের তরফে যেমন বলা হয় পেশি তৈরি করতে কার্বোহাইড্রেট (carbohydrates), ভিটামিন (vitamins) এবং খনিজেরও গুরুত্ব হয়েছে। প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড মানবদেহের পেশি ও অঙ্গের কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ডায়েটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু তার সঙ্গেই যোগ্য সঙ্গত প্রয়োজন কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজেরও (Minerals)
অনেকেই প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য নিয়মিত প্রোটিন শেক খান। বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন শেক পাওয়া যায়। তাতে হয়তো কাজ হয়, কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে প্রোটিন সংগ্রহ করার থেকে আর কিছুই ভাল হয় না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত ডায়েটে রাখলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং অন্য পোষক পদার্থ সহজেই মিলবে।
ডিম:
ডিম (Egg) বরাবরই শক্তিশালী খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। পুষ্টি পেতে ভরসা রাখা হয় ডিমের উপর। প্রোটিন থেকে ভিটামিন, সবই মেলে ডিমে। বিশেষ করে ভিটামিন B-12 এবং ভিটামিন B-6 -এর খুব ভাল উৎস ডিম। রয়েছে থিয়ামিনের মতো পদার্থও। ডিমে রয়েছে প্রচুর লিউসিন রয়েছে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড পেশি তৈরির জন্য সাহায্য করে।
মাছ:
যদি ডায়েটে এমন খাবার থাকে যা যথেষ্ট স্নেহ পদার্থ সরবরাহ করতে পারছে। সেক্ষেত্রে প্রোটিনের জন্য ভরসা করা যায় মাছের (Fish)উপর। বিশেষ করে লোনা জলের মাছ বা সামুদ্রিক মাছ। একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ মৌলের ভরপুর উৎস এই মাছ। সামুদ্রিক মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি পেশির কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয়।
বাদাম:
পেশি সুস্থ রাখার জন্য ডায়েটে রাখা যেতে পারে বাদাম (Nuts)। তবে নিয়মিতভাবে পরিমাণ মতো খেতে হবে এটি। প্রোটিন, ফাইবার এবং ফ্যাটের ভারসাম্য রয়েছে বাদামে। যাঁরা সাঁতার বা ব্যায়ামের মতো শরীরচর্চা করেন তাঁদের ডায়েটে রাখতেই হয় বাদাম।
সয়াবিন:
কেউ যদি নিরামিশাষী হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর প্রোটিনের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হতে পারে সয়াবিন। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই খাদ্য ভরপুর প্রোটিনের উৎস। শুধু সয়াবিনই নয়, সয়াবিনের দুধও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে। পেশির গঠন ভাল করার জন্য দরকার হাইপ্রোটিন ডায়েট। তারই অঙ্গ হতে পারে সয়াবিনের নানা পদ। সয়াবিনে ৯ রকমের প্রয়োজনীয় অ্য়ামাইনো অ্যাসিড রয়েছে।
দই:
দুগ্ধজাতীয় প্রোটিনের অন্যতম উৎস দই (Curd)। দ্রুত হজম করা যায় দইয়ে থাকা প্রোটিন। এতে যা উপাদান রয়েছে তা প্রোটিন-সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করতে পারে। পেশি তৈরির জন্য যা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পনির:
দুগ্ধ-জাতীয় প্রোটিনের অন্যতম প্রয়োজনীয় উৎস হল পনির। নিরামিশাষী কোনও ব্যক্তির প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে এই প্রোটিন। ভরপুর প্রোটিনের উৎসের পাশাপাশি পনির অত্যন্ত সুস্বাদু। তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ক্যালোরিও সরবরাহ করে পনির।
এছাড়াও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়। কারণ এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। যা পেশি তৈরির জন্য সাহায্য করে। পাশাপাশি কুইনোয়া (Quinoa) ডায়েটে রাখা যায়। উচ্চমানের প্রোটিন ও ফাইবারের উৎস এই খাবার।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন? এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন