Uric Acid: লাল রঙের কোন কোন সবজি-ফল অল্পদিনেই কমাবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা? আপনার পাতে এগুলো থাকছে তো?
Health Tips: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আমাদের শরীরে বেড়ে গেলে প্রচুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব যেভাবেই হোক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।

Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যে একাধিক অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। এইসব শারীরিক সমস্যা দূর করার জন্য অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া দরকার। তবে বেশ কয়েকটি ফল এবং সবজি রয়েছে, যেগুলি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার শরীরে। এইসব ফল এবং সবজির রং লাল। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক লাল রঙের কোন কোন সবজি এবং ফল খেলে আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আমাদের শরীরে বেড়ে গেলে প্রচুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব যেভাবেই হোক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। এর জন্য নজর দেওয়া দরকার খাদ্যাভ্যাসের দিকে। লাল রঙের বেশ কয়েকটি ফল এবং সবজি খেলে শরীরে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
- গরমের দিনে এমনিতেই তরমুজ খাওয়া ভাল। এই ফল শরীর হাইড্রেটেড রাখে। তাছারা শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়।
- স্ট্রবেরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস যা আসলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- চেরি ফলে রয়েছে অ্যান্থোসিয়ানিন নামের একটি উপকরণ যা আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়।
- ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। কাঁচা টোম্যাটো খেতে পারলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে।
- লাল রঙের আঙুর খেলে আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রিতই থাকবে। এই আঙুর শরীর ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে।
- লাল রঙের ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে ইউরিক অ্যাসিড। বেশি থাকলে মাত্রা কমে। এতে থাকা ভিটামিন সি সাহায্য করে।
- বেদানা কিংবা ডালিম খেলে ভাল থাকে কিডনি এবং লিভার। তার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশের যন্ত্রণার পাশাপাশি ফুলে যেতে পায়ের পাতা এবং বিশেষ করে গোড়ালির অংশ। তীব্র যন্ত্রণাও হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কিডনি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। তার ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন পুরোপুরি বেরোতে পারে না। আর এর জেরেই ফ্লুইড রিটেনশন হয় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে। অর্থাৎ ফ্লুইড জলে হাত, পা, মুখ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও বেশি ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গাঁটে ব্যথা বাড়ে। অতএব ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় থাকলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, বাত, কিডনি স্টোন- এইসব রোগ একে একে দেখা দিতে বাধ্য। তাই সময় থাকতেই সতর্ক থাকুন।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )























