কলকাতা: শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি (Health Tips)। বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়সের প্রতিটা ধাপে সুস্থ থাকার নিয়ম বদলে যায়। টিনএজ বয়স হলে একরকম। বয়স তিরিশের কোঠায় হলে একরকম। আবার চল্লিশ কিংবা ষাটের বেশি হলে একরকম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৪০ পেরলেই নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সময়ে বেশ কিছু নিয়ম মেনে না চললে দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। তাই এই পরিস্থিতিতে কোন কোন নিয়ম মেনে চলা দরকার, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৪০ বছরের উর্ধ্বের ব্যক্তিদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স চল্লিশের কোঠা পেরলেই ঘুমের দিকে নজর রাখা দরকার। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের জরুরি। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম মেনে ঘুমনোর কথা বলছেন তাঁরা। রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকা এই সময়ে একেবারেই চলবে না। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


২. ধূমপানের অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর প্রভাবে শরীরে নানা ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারাবিশ্বে বহু মানুষ ধূমপানের কারণে মারা যান। তাই সুস্থ থাকতে সবার আগে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।


৩. ধূমপানের মতো ত্যাগ করা দরকার মদ্যপানের অভ্যাসও। সুস্থ থাকতে একেবারেই মদ্যপান করা চলবে না।


আরও পড়ুন - Long Covid: লং কোভিডের এই লক্ষণগুলি অবহেলা করলে ভুগতে হবে দীর্ঘদিন


৪. ওজন বেড়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বয়স চল্লিশ পেরলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ওজন মেপে নিন।


৫. সারাক্ষণ বাড়িতে থাকলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে মাঝেমধ্যে সময় বের করে বেড়াতে যাওয়া প্রয়োজন। বেড়াতে গেলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। নান দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।


৬. প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার সুস্থ থাকতে। সারাদিনে অন্তত খেতে হবে ৮ থেকে ৯ গ্লাস জল। শরীর হাইড্রেট থাকলে অনেক অসুখ প্রতিরোধ করা যায়।


৭. নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে। নজর দিতে হবে ত্বকের দিকেও।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।