Health News : ঠিক এই কারণে ভারতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মৃত্যু! শীতেই বাড়াবাড়ি সবথেকে বেশি
Lung crisis : ইস্কেমিক হৃদরোগের পরে দেশের দ্বিতীয় মারাত্মক রোগ এই সিওপিডি, যা ডেকে আনছে অজস্র মৃত্যু।

ভারতে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী হার্টের অসুখ। অন্যান্য অনেক কঠিন অসুখ, মারণ রোগের প্রাবল্য বাড়লেও, হার্টের অসুখে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যানই সবথেকে বেশি। কিন্তু জানেন কি, ভারতে মৃত্যু কারণ হিসেবে যে রোগটির স্থান দ্বিতীয়ে, সেটি হল সিওপিডি। ফুসফুসের অসুখ। ১৯৯০ সালে ভারতে মৃত্যুর অষ্টম প্রধান কারণ ছিল অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)। যাকে অনেকেই হাঁফানি-বলে গুরুত্ব দেন না, ফেলে রাখেন ডাক্তার না দেখিয়ে।
ইস্কেমিক হৃদরোগের পরে দেশের দ্বিতীয় মারাত্মক রোগ এই সিওপিডি, যা ডেকে আনছে অজস্র মৃত্যু। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরেই সিওপিডি এই ভয়াল রূপ নিয়েছে। গত তিন দশকে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েছে লক্ষণীয় হারে। আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি, তা খারাপ হচ্ছে দিনে দিনে। অনেকেই মনে করেন, সিওপিডি বোধ হয় ধূমপায়ীদের অসুখ, যাঁরা ধূমপান করেন না, তাঁদের মাথাব্যথার কারণ নেই। ভুল, এক্কেবারে ভুল। পরিবেশগত কারণে সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
একসময় সিওপিডির ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি দায়ী করা হত, বয়স এবং ধূমপানকে । এখন ভিলেন হিসেবে দেখা হচ্ছে পরিবেশ দূষণ, কারখানার ধোঁয়াকেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিওপিডির লক্ষণগুলি বেশ কিছু দিন স্থায়ী হলে তার ফল খারাপ হতে পারে । তাই সিওপিডি ফেলে রাখা যাবে না, চিকিৎসার প্রয়োজন যত দ্রুত সম্ভব। এছাড়া সিওপিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফ্লু বা নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও বেশি। সেইসঙ্গে হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার, পেশীর ক্ষতি, উদ্বেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঝুঁকিও বেশি থাকে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে ৫০ থেকে ৫৫ মিলিয়ন সিওপিডি আক্রান্ত রোগী রয়েছে,যা সত্যিই উদ্বেগজনক সংখ্যা। বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ পর্যন্ত মৃত্যু হচ্ছে সিওপিডি থেকে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )






















