কলকাতা: ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিক পদ্ধতিতে না হলে নাক ডাকার সমস্যা (Snoring) দেখা দিতে পারে। এটা আপাত দৃষ্টিতে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা মনে হলেও, শারীরিক বেশ কিছু অসুস্থতাও লুকিয়ে রয়েছে এতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও নাক ডাকার সমস্যায় আশেপাশের মানুষের মধ্যেও বিরক্তি উৎপাদন হয়। নারী- পুরুষ উভয়ের মধ্যেই নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সমীক্ষা বা গবেষণা কী বলছে? নারী নাকি পুরুষ? নাক ডাকার সমস্যা (Snoring Problem) কাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়?
নাক কারা বেশি ডাকে, ছেলেরা নাকি মেয়েরা?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষা অনুযায়ী, নাক ডাকার সমস্যা মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। সমীক্ষকরা জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা যখন ছেলেদের মধ্যে ৪০ শতাংশ দেখা দেয়, তখন একই সমস্যা মেয়েদের মধ্যে দেখা যায় ২০ শতাংশ। তবে, এই সমস্যা শুধুই পুরুষদের সমস্যা নয়। বহুক্ষেত্রেই মেয়েদের মধ্যেই নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়।
কেন ছেলেদের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা বেশি দেখা দেয়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ছেলেদের নাকের গড়নের কারণে নাক ডাকার সমস্যা তাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও পুরুষদের নাকের টিস্যু অনেক বেশি কোমল হওয়ার কারণেও সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ওজনের কারণেও নাক ডাকার সমস্যা ছেলেদের মধ্যে বেশি দেখা দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন - Health Tips: ক্লান্তিবোধ করছেন? তাহলে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি
নাক ডাকার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া টোটকা-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকক্ষেত্রে শোওয়ার কায়দা সঠিক না হওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। তাই শোওয়ার কায়দার দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
২. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ঘুম সঠিক না হলেও নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. নাক ডাকার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওই ব্যক্তির বালিশ সামান্য উঁচু করে দিলে এই সমস্যা মিটতে পারে।
৪. মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘুতে যাওয়ার আগে মদ্যপানের অভ্যাস নাক ডাকার সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৫. মদ্যপানের মতো ধূমপানও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অত্যধিক ধূমপান নাক ডাকার সমস্যা তৈরি করে।
৬. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে ওবেসিটি দেখা দেয়। নাক ডাকার সমস্যা ওবেসিটিরও লক্ষণ বটে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।