কলকাতা: ফোনের রিং বাজেনি। কোনও নোটিফিকেশন ঢোকেনি। কেউ মেসেজও করেনি। তার পরও অনেকে ফোনটা হাতে নেন। নাহ, কোনও কাজের জন্য নয়। বরং কোনও কাজ ছাড়াই অনেকে এটি করে থাকেন। কিন্তু কতজন? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণা হয়।তাতেই জানা গিয়েছে আসল সত্যিটা। এক হাজার জনের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কনসাল্টিং সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের তরফে এই সমীক্ষা করা হয়। এক হাজার জনের সবাই ছিলেন ভারতীয়।


কজনের ফোনে এমন আসক্তি ?


ওই সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে,  ভারতীয়দের ৫০ শতাংশ এই সমস্যায় আক্রান্ত। জেনে বা না জেনে ফোন ঘাঁটাঘাঁটির স্বভাব রয়েছে প্রতি দুজন ভারতীয়দের মধ্যে একজনের। অধিকাংশ সময়ই ফোন ঘাঁটাঘাঁটির কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা। তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ইন্টারভিউ মারফত। বোস্টন গ্রুপের ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি কমবেশি ৭০-৮০ বার তার ফোন হাতে তুলে নেয়। বেশিরভাগ সময়ই সেটা অকারণে করে থাকে।


এই আসক্তির কি বিপজ্জনক ?


গবেষকদের কথায়, কিছু ব্যক্তি নিজেদের আসক্তির ব্যাপারে জানেন। কিন্তু অনেকেই এই ব্যাপারে ঠিকমতো অবগত নন। দুই ক্ষেত্রেই আসক্তি বাড়তে থাকে। এতে যথাসময়ে লাগাম টানা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


ফোনের কোন জিনিস টানছে ?


ফোন ঘাঁটাঘাঁটি তো বোঝা গেল। কিন্তু ফোনের কোন জিনিসটি সবচেয়ে বেশি টানছে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের? এর উত্তরে বিসিজি-এর সিনিয়র পার্টনার নিমিষা জৈন বলেন, স্মার্টফোনের সংজ্ঞাও বদলে যাচ্ছে। এখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ। আর সেই যুগের নিরিখে বদলে যেতে পারে ফোনের গড়ন। মূলত সেই দিকটাই বেশি টানছে। এছাড়া, ওটিটি ও ভিডিয়ো দেখার দিকে ঝোঁক বাড়ছে তরুণদের। বিভিন্ন ভিডিয়ো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সংখ্যাও বাড়ছে সেই হারে। ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ব্যক্তিদের মধ্যে ভিডিয়ো দেখার দিকে ঝোঁক রয়েছে। অন্যদিকে অনলাইন শপিং, গেমিংও বড় আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কীভাবে কমবে আসক্তি ?



  • ফোনের আসক্তি কমাতে স্ক্রিনটাইম বেঁধে ফেলতে হবে। নির্দিষ্ট স্ক্রিনটাইমের বেশি ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

  • দিনের নির্দিষ্ট সময় ফোন বন্ধ রাখার অভ্য়াস করতে পারেন।

  • বিছানায় ফোন নিয়ে শোওয়া বন্ধ করতে হবে।

  • ফোনের যে যে জিনিসগুলি আসক্তি তৈরি করছে, সেগুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখা অভ্যাস করতে হবে।


আরও পড়ুন - Ear Cleaning Tips: চাবি, কাঠি দিয়ে কান সাফ করেন ? পর্দার বিপদ, বিকল্প কী