কলকাতা: গরমকালে (Summer) দই (Curd) স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা গরমকালে প্রতিদিন দই খাওয়ার পরামর্শ দেন। মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খেতে বলেন তাঁরা। অনেকেরই প্রতিদিন দোকান থেকে কিনে দই খাওয়া সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতেই দই পেতে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কীভাবে খুব সহজেই বাড়িতে দই পাততে পারবেন, জেনে নিন পদ্ধতি-


বাড়িতে দই পাতার পদ্ধতি-


১. দই পাতার জন্য প্রথমে দুধটাকে ভালো করে ঘন করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
২. দই পাতার আগে দোকান থেকে সামান্য টক দই কিনে আনা দরকার।
৩. দুধ ফুটিয়ে ঘন করার পর তা হালকা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪. দুধ যখন হালকা গরম থাকবে, তখন একটি কাচের কিংবা মাটির পাত্রে কিনে আনা টক দই অল্প করে নিয়ে পুরো পাত্রে মাখিয়ে নিন।
৫. এবার তার মধ্যে ফুটিয়ে রাখা দুধ ঢেলে দিন।
৬. এবার পাত্রের মুখ ভালো করে বন্ধ করে তার উপর কাপড় দিয়ে মুড়ে গরম জায়গায় রেখে দিন।
৭. অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিতে হবে।
৮. রাতে দই বসাতে দিলে সবচেয়ে ভালো হয়।
৯. ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে দেখুন একেবারে দোকানের মতো দই জমে গিয়েছে।


আরও পড়ুন - Health Tips: বয়স চল্লিশের পেরিয়েছে? অবশ্যই মানুন এই নিয়মগুলো


বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমকালে মিষ্টি দই এবং টক দই দুটোই সমান উপকারী। তবে, যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মেনে চলছেন, তাঁদের জন্য অবশ্যই টক দই বেশি উপকারী। কারণ, মিষ্টি দইতে থাকা শর্করা ওজন কমানোর রাস্তায় বাধা হতে পারে। তাছাড়া, যেকোনও সময়েই টক দই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা উপকারী গুণাগুণ স্বাস্থ্যের নানা উপকার করে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, গরমকালে তেল মশলাজাতীয় খাবারের পরিবর্তে তালিকায় রাখা দরকার হালকা খাবার। এর মধ্যেই অবশ্যই রাখা দরকার দই। কারণ, গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে দই। এটি যেমন হজমের জন্য উপকারী। তেমনই অম্বলের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করে। পেট ভালো রাখে দই। গরমকালে সাধারণত পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। মিষ্টি ছাড়া দই মধুমেহ রোগীদের জন্যও দারুণ উপকারী। ভাতের সঙ্গেও দই খাওয়া যেতে পারে। আবার দই দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর পাণীয়। মিষ্টি দইয়েরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। টক দইয়ের মতো মিষ্টি দইও পেট ভালো রাখতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।