কলকাতা: পেট খারাপ কি সত্যিই মনের হদিশ? বাঙালি সমাজে একটি পরিচিত লব্জ রয়েছে। খিটখিটে মেজাজের কাউকে দেখলেই বলা হয় ‘ভদ্রলোকটির নিশ্চয়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে।’ এই ধরনের কথা এক অর্থে ব্যক্তিগত আক্রমণ। যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এরকম ব্যক্তিগত সমস্যা কি সত্যিই থাকে? এই নিয়ে নানা সময় জেনে নেওয়া যাক।


পেট খারাপই কি মেজাজ খারাপের কারণ ?


হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি গবেষণা বলছে, পেটের সঙ্গে সরাসরি মস্তিষ্কের যোগ রয়েছে। সাধারণ ধারণা থেকে অনেকেই মনে করেন, মস্তিষ্কই কোলন অর্থাৎ অন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এর উল্টোটাও হয়ে থাকে। আর তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে গবেষণায়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘স্টোম্যাক ডিসট্রেস’ দুশ্চিন্তা, স্ট্রেসের কারণ হতে পারে। এমনকি এর থেকে অবসাদও দেখা দিতে পারে। আবার উল্টোটাও হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস ও অবসাদের কারণে পেট খারাপ হতে পারে। অর্থাৎ একটি ঘটনা অন্যটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য ও পেটের স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে পজিটিভলি কোরিলেটেড। পরিসংখ্যানে এই কোরিলেশন বলতে দুটি ঘটনার মধ্যেকার সম্পর্ককে বোঝানো হয়।


হার্ভার্ডের ওই সূত্র মোতাবেক, বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোনও শারীরিক সমস্য়া না থাকলেও অনেকে পেটের সমস্যায় ভোগেন। এর বড় কারণ স্ট্রেস বা মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি। কিন্তু ঠিক কী কারণে স্ট্রেস বা মানসিক সমস্যা হচ্ছে তা জানা জরুরি। নয়তো এর চিকিৎসা করা জটিল হয়ে পড়ে।


খাবারে বদল আনলেই কি উপকার?


খাওয়াদাওয়ায় কিছু নির্দিষ্ট বদল আনতে পারলে পেটের হাল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর সেই থেকে মনের হালও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে এর পাশাপাশি দরকার আরও কিছু জিনিস।



  • ফাইবারজাতীয় খাবার খাওয়া - ফাইবারজাতীয় খাবার পেট পরিষ্কার রাখতে দারুণ ওস্তাদ। সবজি ও ফলজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।

  • কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমানো - বিশেষজ্ঞরা সুগার ক্রেভিং শব্দটি মাঝে মাঝেই ব্যবহার করে থাকেন। মানসিক সমস্যায় সুগার ক্রেভিং বেড়ে যায়। এর মানে কিন্তু চিনির খিদে নয়। এটি শর্করা অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেটের খিদেকে বোঝায়। আর সেই ধরনের খাবার খাওয়াই কমাতে হবে। একেবারে বন্ধ নয়। অল্প পরিমাণে খেতে হবে।

  • হালকা ব্যায়াম - হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করার সময় অনেকেই পান না। তারা হাঁটাহাঁটি বেশি করতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার মেলে।


তথ্যসূত্র - হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল


আরও পড়ুন - Motivational Tips: রাগ, দুশ্চিন্তা, দুঃখ ভাল! সামনে এগিয়ে যেতে নাকি কাজে লাগে এগুলোই