কলকাতা: পড়ে যান অনেকেই। কিন্তু বিপদ নাকি সবার একরকম নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই জানা গিয়েছে। গবেষকদের কথায়, পড়ে গেলে মহিলাদের তুলনায় মহিলাদের তুলনায় পুরুষরাই নাকি বেশি বিপদে পড়েন। কারণ তাদের পা ভাঙার আশঙ্কা বেশি। অস্টিয়োপোরোসিস ইন্টারন্যাশনালে ইদানিংকালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। মোট নয় লাখ মানুষকে গবেষণাটি করা হয়‌। তার ভিত্তিতেই এই তথ্য পাওয়া যায়। 


হাড় ভাঙার আশঙ্কা পুরুষদেরই বেশি


মহিলা ও পুরুষ দুই পক্ষই পড়ে যান। কিন্তু পুরুষদের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। ফ্র্যাকচার রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (Fracture Risk Assessment) করে দেখা হয়েছে এই গবেষণায়। এটিকে সংক্ষেপে ফ্র্যাক্স বলা হয়। এই রোগে আগামী দশ বছরে এক ব্যক্তির হাড় ভাঙার আশঙ্কা কতটা তা মাপা হয়। বর্তমানে ফ্র্যাক্স পদ্ধতিতেই সারা বিশ্বে হাড় ভাঙার ঝুঁকি মাপা হয়। 


কী বলছেন গবেষক ?


সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে গবেষণাটির অন্যতম গবেষক ডগলাস টি কেইল বলেন ফ্র্যাক্স পদ্ধতিতে ফ্র্যাক্স অ্যালগরিদমে আগের পড়ে যাওয়ার ঘটনাগুলিকে ধরা হয়‌। তার ভিত্তিতে আগামীদিনে একজন ব্যক্তির হাড় ভাঙার আশঙ্কা বা ঝুঁকি পরিমাপ করা হয়। এই পদ্ধতিকে রিস্ক আ্যসেসমেন্ট বলা হয়। আগামী দশ বছরের জন্য এই রিস্ক বা ঝুঁকি মাপা হয়। নয় লাখ মানুষের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, পুরুষদের বেশি হাড় ভাঙার ঝুঁকি রয়েছে। 


অস্টিওপোরোসিস রয়েছে এর পিছনে


গবেষকদের কথায়, এই হাড় ভাঙার পিছনে বড় কারণ অবশ্য অস্টিওপোরোসিস। আর্থ্রাইটিস যেমন জয়েন্টের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস তেমনই হাড়ের। এই রোগে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। একটা সময়ের পর বাথরুম বা ঘরে পড়ে গেলেই হাড় ভেঙে যায়। অস্টিওপোরোসিস রোগটি না থাকলে সাধারণ অবস্থায় যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 


বিপদে রয়েছে নিতম্বও 


হাড় ভাঙা অর্থাৎ ফ্র্যাকচারেরও প্রকারভেদ রয়েছে। গবেষকদের কথায়, ক্লিনিকাল ফ্র্যাকচার, অস্টিয়োপোরোটিক ফ্র্যাকচার, মেজর অস্টিয়োপোরোটিক ফ্র্যাকচার ও হিপ ফ্র্যাকচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অর্থাৎ ভঙ্গুর হাড়ের কারণে হাড় ভাঙা ছাড়াও নিতম্বের হাড় ভেঙে যেতে পারে। যা গুরুতর হলে বসার ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে। অন্যদিকে মহিলা ও পুরুষ ভাগাভাগি করে না এমন কিছু ফ্র্যাকচারও হয়। সেগুলির বড় কারণ হাড়ের খনিজ পদার্থের ঘনত্ব কম।‌


আরও পড়ুন - Health Tips: শিশুদেরও হয় কোষ্ঠকাঠিন্য, কেন ? কী করলে মিলবে সুরাহা ?