কলকাতা: কাশির নানা ধরন হয়। একেক রোগে একেকরকম কাশি হয়। শুধুই সর্দিকাশিতেই কাশি আটকে থাকে না। এর থেকেও মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে কাশি। যেমন ফুসফুসের কঠিন রোগেও কাশির লক্ষণ দেখা দেয়। ক্যানসার, টিউবারকিউলোসিস রোগেও কাশি হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির। কিন্তু কোন কাশি কোন রোগের লক্ষণ তা বোঝার উপায় কী ? কোন কাশি টিউবারকিউলোসিসের লক্ষণ তা জানার উপায় কী ? বিশদে জেনে নেওয়া যাক।


টিউবারকিউলোসিসের কাশির লক্ষণ 



  • টিউবারকিউলোসিসের কাশি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। এছাড়াও, কাশির কফের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসতে পারে।

  • রোজকার কাজ করার শক্তি পাওয়া যায় না। প্রচন্ড দুর্বল লাগে। এমনকি অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে পড়ার মতো অনুভূতি হতে পারে।

  • শুধুই কাশি হবে না। কাশির সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকবে।

  • রাতের দিকে ঘাম হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

  • খিদে কমে যেতে পারে।

  • ওজন কমে যেতে পারে তরতরিয়ে।

  • সাধারণভাবে সারাদিনই শরীর খারাপ লাগে। অসুস্থতার ভাব যেন কাটতেই চায় না।

  • ছোটদেরও টিউবারকিউলোসিস হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রেও ওজনের সমস্যা দেখা দেয়।


টিবি ছড়িয়ে পড়তে পারে শরীরের অন্যান্য অংশেও


টিবি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিভিন্ন অঙ্গে এই কারণে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। 



  • শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন গ্রন্থিগুলি ফুলে যেতে পারে।

  • গায়ে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। 

  • শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

  • পেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়াও টিবি রোগের একটি লক্ষণ।.

  • প্রচন্ড মাথাব্যথা ও ঠিকমতো সিদ্ধান্ত নিতে না পারার সমস্যাও দেখা দেয় টিবি রোগে।

  • এছাড়াও, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন হাত, পায়ে র‌্যাশ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 


কাদের টিবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে ?



  • টিবি হয়েছে এমন কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে টিবি রোগের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।

  • কিছু ক্ষেত্রে টিবির ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকলেও লক্ষণ ফুটে ওঠে না। অর্থাৎ ওই ব্য়ক্তি টিবি রোগে আক্রান্ত হন না। এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকলে টিবি হতে পারে।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে টিবি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Tips: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়েই বাড়ছে হার্টের বিপদ ?