কলকাতা: বাটার নান, দাল মাখনি, বা চিকেন দো পিঁয়াজা--আহা! নাম শুনলেই জিবে জল আসে, তাই না? কিন্তু দিনের পর দিন এই খাবারগুলিই যদি খেতে থাকেন তা হলে বিপদ, তেমনই উঠে এসেছে পিজিআইএমইআর, চন্ডীগড় এবং দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল হেলফ, ইন্ডিয়ার একটি গবেষণায়।"ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন" নামে একটি জার্নালে সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিতও হয়েছে। তাতে প্রধানত, উত্তর ভারতের বড় অংশে যে ধরনের খাাওয়াদাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে, তার নানা দিক নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা।


কী রয়েছে গবেষণায়?
গবেষণায় উঠে এশেছে, বাটার নান, দাল মাখনি বা চিকেন দো পিঁয়াজা খেতে ভাল হলেও বিপদের আশঙ্কা ষোলো আনা। ছোট করে বললে, এতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর ভারতের এই ধরনের খাবারে নুন এবং ফসফরাসের মাত্রা বিপজ্জনক ভাবে বেশি। অন্য দিকে, প্রোটিন এবং পটাশিয়ামের মতো জরুরি উপাদানের পরিমাণ খুবই কম। তাতে লাভ বা ক্ষতি কী? খোলসা করা যাক। গবেষকদলের অন্যতম তখা পিজিআইএমআর, চন্ডীগড়ের 'experimental medicine and biotechnology'-র সহযোগী অধ্যাপক, অশোক যাদব জানালেন, এই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মূত্রের নমুনায় সোডিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন এবং পটাশিয়ামের মাত্রা মাপা হয়েছিল। তাঁর মতে, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, প্রত্যেক দিন গড়ে ২ গ্রাম সোডিয়াম দেহে যেতে পারে, সেখানে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৬৫ শতাংশের দেহেই গড়ে ৮ গ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। বাড়তি সোডিয়াম মানেই হাইপারটেনশনের আশঙ্কা। সেখান থেকে নানা ধরনের জটিলতা।
এবার আসা যাক, ফসফরাসে। যেখানে প্রত্যেক দিন ৭ হাজার মাইক্রোগ্রাম ডায়েটরি ফসফরাস শরীরে যেতে পারে, সেখানে এই গবেষণায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই হারও গড়ে অনেকটা বেশি ছিল। উল্টো দিকে, আবার এই ধরনের খাবারে প্রোটিন এবং পটাশিয়ামের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। বিশেষত, প্রোটিনের মাত্রা কম থাকায় আশঙ্কার বাণী শুনিয়েছেন গবেষকদের অনেকেই। তাঁদের মতে, প্রোটিন মানবদেহের অন্যতম জরুরি জিনিস। পর্যাপ্ত পরিমাণে তা শরীরে না গেলে একাধিক সমস্যা হতে পারে। সব মিলিয়ে ওই গবেষকদলের বক্তব্য, খেতে ভাল হলেও উত্তর ভারতীয় খাবার বলে পরিচিত বেশিরভাগ পদই সুষম আহার নয়। তাই বুঝেশুনে খাওয়াতেই স্বাস্থ্য ও স্বাদের ভারসাম্য সম্ভব। 


আরও পড়ুন:তেজস্বীর পাশে বামেরাও, নীতীশের ডিগবাজিতে কি হিতে বিপরীত? বিহার ভাবাচ্ছে BJP-কে