কলকাতা: পেটের সমস্যায় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যে মাঝে মাঝেই ভুগতে হয় অনেককে। কেউ কেউ এর জন্য ওষুধ খান। কিন্তু তা খেয়ে সাময়িক আরাম পেলেও কাজ হয় না। সমস্যা থেকেই যায়। এই সমস্যা বাদাম খুব সহজেই সামাল দেয়। পেস্তাবাদাম এই দিক থেকে বিশেষভাবে কার্যকর। রোজকার খাবারের রুটিন সামান্য বদল আনুন। রাখুন পেস্তাবাদাম। পেটর সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলবে। তবে এছাড়াও পেস্তার আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে।
পেস্তাবাদামে কী কী পুষ্টিগুণ (Pistachios Nutrients)
পেস্তাবাদামে ক্যালোরি প্রচুর। অর্থাৎ অল্প খেলেই আনেকটা এনার্জির জোগান দেয় এই বাদাম। ১০০ গ্রাম পেস্তা থেকে ৫৬২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। যা দুই থালা ভাতের সমান। এতে মোট ফ্যাটের পরিমাণ ৪৫ গ্রাম। এর মধ্যে স্যাচুরেটেড অর্থাৎ খারাপ ফ্যাট ৬ গ্রাম। যা খুবই কম। কোলেস্টেরল নেই পেস্তায়। বরং প্রোটিন রয়েছে ২০ গ্রাম। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম পরিমাণ প্রায় ১ গ্রাম। ভিটামিন বি৬-এ সমৃদ্ধ পেস্তাবাদাম। ৮৫ শতাংশ ভিটামিন বি৬ থাকে। ৩০ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম থাকে পেস্তায়। এছাড়াও ১০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ২১ শতাংশ আয়রন ও ৯ শতাংশ ভিটামিন সি পেস্তায় রয়েছে।
পেস্তাবাদাম কেন খাবেন (Pistachios Benefits)
ক্যানসার ঠেকায় - লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পেস্তা। যা অন্যান্য বাদামের থেকে অনেকটাই বেশি। এই উপাদানগুলি ক্যানসার ঠেকায়।
চোখ ভাল রাখে - চোখের জন্য বিশেষ উপকারী পেস্তাবাদাম। কারণ এর মধ্যে এছাড়াও, পলিফেনল ও ভিটামিন ই রয়েছে। যা ছানি পড়া, এজরিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকায়।
কোলেস্টেরলের ভয় নেই - পেস্তায় কোলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। পাশাপাশি হার্ট ব্লকেজের আশঙ্কাও কমে।
হার্ট ভাল রাখে - অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি প্রদাহ কমায়। ফলে প্রদাহজনিত বিভিন্ন রোগ যেমন হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমে।
ওজন কমায় - পেস্তায় ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হলেও এটি রোজ কম পরিমাণে খাওয়ার নিয়ম। ফলে ক্যালোরি থেকে ওজন বাড়ার ভয় নেই। অন্যদিকে এটি বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে - পেস্তার মধ্যে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এটি নিয়মিত পাতে রাখলে হাই ব্লাড প্রেশারের থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Health News: ভয়ানক ব্রেন ক্যানসারকে হারিয়ে দিল ১৩-এর কিশোর ! সাফল্য ট্রায়ালেই