কলকাতা: রাগ (Anger)। হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ, অভিমান এবং অন্যান্য স্বাভাবিক অনুভূতির মতো রাগও একটি অনুভূতি। বিশেষজ্ঞরা জানান, রাগ স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হলেও এর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। রাগে মানুষ এমন অনেক কাজ করে ফেলে যার ফলে পরবর্তীকালে তাকে আফশোসও করতে হয়। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ তাকে না এই সময়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বহু মানুষই অল্পতেই রেগে যান। আর নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটিয়ে ফেলেন রাগের বশে। তাই সময় থাকতেই তাতে লাগাম টানা অত্যন্ত জরুরি।


রাগের কারণ-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নানা কারণে রাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদ্বেগ, অবসাদ, আর্থিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, অত্যধিক মদ্যপান এবং আরও কারণে রাগ সমস্যা দেখা দেয়। এটি এক ধরনের মানসিক সমস্যাও। মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষুন্ন হলে রাগ দেখা দেয়। একেক ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে রাগের কারণ এক এক রকম। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাগ অবসাদেরও অন্যতম লক্ষণ। দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও মানুষ অবসাদে ভোগেন, তাহলে তার মধ্যে রাগ জন্মাতে পারে। অবসাদের কারণে রাগ দেখা দিলে মেজাজ খিটখিটে থাকা, এনার্জির অভাব দেখা দেওয়া, হতাশ হয়ে যাওয়া এবং কখনও কখনও আত্মহত্যার চেষ্টা করার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।


আরও পড়ুন - Heart Attack: হতে পারে হার্ট অ্যাটাক! যে ৪ লক্ষণ দেখা দিলেই সাবধান


কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে এখনই রাগ কমানো প্রয়োজন-


রাগের নানা লক্ষণ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যক্তি অনুযায়ী রাগের লক্ষণ নির্ভর করে। বহু মানুষ রাগ হলে চুপচাপ হয়ে যান। নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন। আবার কোনও কোনও মানুষের রাগ হলে জিনিসপত্র ভাঙা, মারধর, নিজেকে কষ্ট দেওয়া এবং আরও নানা ক্ষতিকর কাজ করতে থাকে। 
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি কোনও ব্যক্তি রাগের বশবর্তী হয়ে নিজেকে কিংবা অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে দ্রুত থামানোর প্রয়োজন।


২. সবসময় রাগ করা বা খিটখিট করা। যেকোনও বিষয় নিয়েই অন্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়া।


৩. রাগ হলেই নিজেকে বা অন্যকে দোষারোপ করা।


৪. আত্মহত্যার চেষ্টা করা বা আত্মহত্যা করার কথা বলা।


৫. অন্যকে মারধর করা। জিনিসপত্র ভাঙচুর করা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।