Sleeping Issues In Hotel Beds: নিজের শোওয়ার জায়গাটি নিয়ে অনেকেই ভীষণ স্পর্শকাতর। সেই স্থান মোটেই অন্য়কে ছাড়তে রাজি হন না। এমনকি নিজের বালিশ ও পাশবালিশ অন্যকে দিতে অপছন্দ করেন। এমন ব্যক্তিকে যখন নিজের বিছানা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য হোটেলের বিছানায় শুতে যেতে হয়, তখন যেন অস্বস্তি আরও বাড়ে। কারণ অন্য বিছানায় ঠিকমতো ঘুম আসতে চায় না। আবার বালিশ ও পাশবালিশের সমস্য়াও থাকে। এই সব সমস্যা সামলে ঘুমিয়ে পড়লেও ঘুম ভেঙে যায় তাড়াতাড়ি। কারণটা একই, অস্বস্তি। তাহলে হোটেলে নিশ্চিন্তে গভীর ঘুমের উপায় কী ? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।


নিশ্চিন্তে গভীর ঘুমের উপায় ?


রুমের স্থান -  ঘুমের সমস্যা থাকলে রুম কেনার সময় সতর্ক থাকা জরুরি। রুম একটু বুঝে শুনে কিনলে ঘুমের ব্যাঘাত আটকানো যায়। যেমন একটু উপরতলায় রুম কিনলে ঘুমোতে সুবিধা হয়। রাস্তার ধারে রুম না নিয়ে একটু ভিতরের দিকে নিতে পারেন। এতে রাস্তার শব্দে ঘুমোতে অসুবিধা হবে না।


হালকা খাবার - ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা খাবার খাওয়া ভাল। এতে হজমের খুব একটা সমস্যা হয় না। কারণ হজমের সমস্যা হলে ঘুম আসতে দেরি হয়। অন্যদিকে চেষ্টা করতে হবে, যত তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া যায়। এতে হজম দ্রুত হবে।


মদ্যপান এড়ানো ভাল -  রাতের বেলাটাই অনেকে এর জন্য বেছে নিন। কিন্তু এর জেরেই ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।


ঘরের গন্ধ - ঘরের গন্ধ অনেক সময় নিজের বাড়ির একটা আমেজ এনে দেয়। তাই বাড়িতে যে রুম স্প্রে ব্যবহার করেন, সেটি এখানেও নিয়ে আসুন। এতে ঘরের গন্ধটা নিজের বাড়ির মতো হবে, যা ঘুম আসতে সাহায্য় করবে।


স্লিপ মাস্ক ও ইয়ারপ্লাগ - বাইরের শব্দ ও আলোতে ঘুমের ব্য়াঘাত ঘটছে বেশি ? এই সমস্যা কাটাতে স্লিপ মাস্ক ও ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করতে পারেন। ইয়ারপ্লাগ তুলোর মতোই কাজ করে। অন্যদিকে স্লিপ মাস্ক চোখে আলো আসতে দেয় না।


বালিশ - বালিশ নিজের পছন্দমতো হচ্ছে কি না দেখে নিন। বালিশের ঝামেলা এড়াতে হাওয়া ভরা যায় এমন বালিশ কিনে নিন। এতে আরামের ঘুম হবে রাতে।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Environment Pollution: ‘নিজেই নিজেকে থাপ্পড়’ মারা কেন জরুরি ? জানালেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ