Hair Masks: বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে কী কী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?
Hair Care: চুলে হেয়ার মাস্ক কেন ব্যবহার করা উচিত? করলে কী কী উপকার পাবেন? একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
Hair Masks: চুলের রুক্ষ, শুষ্ক (Dry Hair) ভাব দূর করার পাশাপাশি চুলের মোলায়েম এবং উজ্জ্বল ভাব ফেরাতেও কাজে লাগে হেয়ার মাস্ক। বাড়িতেই তৈরি করা যায় হেয়ার মাস্ক। কী কী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন? দেখে নিন।
নারকেল তেল- নারকেল তেল যে চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল সেকথা সকলেরই জানা। নারকেলের তেল চুলের গঠন মজবুত করে। চুলের রুক্ষ, শুষ্ক এবং লালচে ভাব দূর করে। এছাড়াও নারকেল তেল চুল পড়ার সমস্যা কমায়। চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়া কিংবা ডগা ফেটে যাওয়া ইত্যাদির সমস্যাও কমতে দেখা যায় নারকেল তেলের সাহায্যে।
ডিমের কুসুম- অনেকেই চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে ডিম ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম সবচেয়ে কার্যকরী। এর সঙ্গে কী কী উপকরণ মিশিয়ে বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারবেন এবং তা কী কী কাজে লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। ডিমের কুসুমে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন এবং লেসিথিন নামের একটি উপকরণ। এই দুইয়ের সাহায্যে চুলে সঠিক পুষ্টির জোগান হবে। চুলের গঠন হবে মজবুত। ডিমের কুসুমের সঙ্গে মধু এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
অ্যাভোকাডো- এই ফলের অনেক গুণ। চুলে সঠিক ভাবে পুষ্টির জোগান দেয় এই ফল। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন রয়েছে অ্যাভোকাডোর মধ্যে যা সার্বিক ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। মধু এবং অলিভ অয়েলের সঙ্গে অ্যাভোকাডো পেস্ট মিশিয়ে তৈরি করা যায় হেয়ার মাস্ক। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের রুক্ষ ভাব দূর করবে অনায়াসে। চুল হবে চকচকে এবং উজ্জ্বল।
কলা- বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে কলা একটু গুরুত্বপূর্ণ। মূলত পাকা কলা ব্যবহার করা হয়। টুকরো টুকরো করে কলা কেটে নিয়ে তা ভাল করে মেখে বা চটকে নেওয়া প্রয়োজন। চুলের ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এই ফল। চুল রাখে চকচকে। কলার মধ্যে রয়েছে বায়োটিন এবং ময়শ্চারাইজিং উপকরণ। এর ফলে চুল উজ্জ্বল এবং মোলায়েম বা নরম থাকে। চুলের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করার জন্য মধু এবং ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন কলার পেস্ট। তাহলেই বাড়িতে তৈরি হয়ে যাবে হেয়ার মাস্ক।
ইয়োগার্ট- বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করার সময় ব্যবহার করতে পারেন ইয়োগার্ট। কারণ ইয়োগার্টের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ আমাদের চুল মোলায়েম এবং নরম রাখতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি চুলে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ইয়োগার্টের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস রয়েছে যা চুলের গঠন মজবুত করতে এবং চুলে পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমন্ড অয়েলের সঙ্গে ইয়োগার্ট মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারলে তা চুলে কন্ডিশনারের কাজ করবে।