Contai Co-operative Election: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সমবায় ভোট; শুভেন্দু-গড়ে ধরাশায়ী বিজেপি, উড়ল সবুজ আবির
East Midnapore: অশান্তি রুখতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাঁথিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হল।
কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরে, সমবায় ব্য়াঙ্কের ভোটে সবুজ ঝড়। কাঁথিতে (Contai Co-operative Election), বিপুল ভোটে জয়ী হল তৃণমূল। এদিকে, পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রামে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আসন সমঝোতা। ৫০টি আসনের মধ্যে ৩২টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এমনকী আসন রফার কথা খোলাখুলি স্বীকার করে নিল দুই দলই।
অশান্তি রুখতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাঁথিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হল। আবার নন্দীগ্রামে, দেখা গেল তৃণমূল-বিজেপির সমঝোতা। সমবায় সমিতির ভোট ঘিরে দু-দিনে এমনই ছবি উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, রবিবার কার্যত নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোট হল কাঁথির কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১০৮টি আসনে। অথচ, খোদ শুভেন্দু অধিকারীর গড়, এই নন্দীগ্রামেই, আরেক সমবায় সমিতিতে দেখা যায় তৃণমূল-বিজেপি সমঝোতা।
আগামী ৫ জানুয়ারি, নন্দীগ্রামের দীনবন্ধুপুর সমবায় সমিতিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই সমবায় সমিতির ৫০টি আসনের মধ্যে ৩২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা, তাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই। এনিয়ে আজব সাফাই দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। সেই সঙ্গে দুই পক্ষই খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছে আসন সমঝোতার কথাও। দলের অঞ্চল সম্পাদক অরূপ গোল বলেন, "নির্বাচন মানে ২ লাখ টাকার মতো খরচ। এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পরামর্শ নিয়ে আমরা বিজেপির সঙ্গে আসন রফা করেছি। ১৮টি বিজেপি নিয়েছি। ৩২টি আমরা তৃণমূল কংগ্রেস নিয়েছি।'' তমলুক সাংগঠনিক জেলার সদস্য সুদীপ দাস বলেন, "সমবায়ের কোনও রং হয় না। সমবায় নির্বাচন করতে গেলে বিপুল অর্থ নষ্ট হয়। তাই আসন সমঝোতা করা হয়েছে।''
এরপরও কি আর তৃণমূল-বিজেপির সেটিং নিয়ে কোনও সংশয় থাকে? প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "নন্দীগ্রামে যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল। যাহাই তৃণমূল, তাহাই বিজেপি। নন্দীগ্রামে, সর্বত্র নয়। পূর্ব মেদিনীপুরে। তাহলে শুভেন্দু কী? আসলে সাজানো বিরোধী। সাজানো বিরোধী কী করে হয়, দেখতে পাচ্ছি। যেমন সাজানো নির্বাচন হয়। ওখানে জানে, সিপিএম যেভাবে এগোচ্ছে, বামপন্থীরা যেভাবে এগোচ্ছে, সেখানে বিজেপি-তৃণমূল ২ জনে যদি কাঁধ ঘষাঘষি না করে, একে অপরের কোলে উঠে না বসে তাহলে কিন্তু বিপদ আছে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: সন্দীপ-অভিজিতের জামিনের প্রতিবাদ, ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত সিনিয়র চিকিৎসকদের