কলকাতা: শীতকাল (Winter) হতেই আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও শরীরে নানা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে সঠিক লাইফস্টাইল ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে ভিটামিন ডি-এর (Vitamin D) ঘাটতি দেখা দেয়। গরমকালের তুলনায় শীতকালে আচমকা ভিডামিন ডি-এর ঘাটতি হতে পারে শরীরে। তার জন্য প্রতিদি স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হয়েছে?


ভিটামিনের ঘাটতি বোঝার উপায়-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি শীতকালে আচমকা অবসাদের লক্ষণ টের পান, তাহলে বুঝতে হবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।


২. শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে পেশিতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন - Health Tips: শেষ শীতের আবহাওয়ায় বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের কীভাবে ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করবেন?


৩. বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে হাড় এবং পেশিকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই হাড় কিংবা পেশির কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা শুধুমাত্র ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণেই হতে পারে।


৪. আচমকা যদি অনেকটা ওজন বেড়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


৫. শরীরে অত্যধিক মেদ জমে যাওয়াও ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণে হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


৬. গাঁটের ব্যথা, কনুই কিংবা হাঁটুতে ব্যথা, এসব কিছুই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ। 


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে সবার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। এছাড়াও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মাছ, ডিম, মাংস, মাশরুম প্রভৃতি রাখা প্রয়োজন। ভিটামিন ডি-পেতে গেলে সুষম আহার প্রয়োজন। নানা ধরনের খাবার রাখতে হবে পাতে। গরুর দুধ রাখা যেতে পারে। দুধ সহ্য না হলে পনীর বা চিজ ভিটামিন-ডি- এর উৎস হিসেবে কাজ করবে..  সুস্থ থাকতে গেলে সবার আগে নজর দিতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। বিভিন্ন পোষক পদার্থ যাতে ঠিকমতো মেলে তার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সেই তালিকার মধ্যেই পড়ে ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখা থেকে কোষ উৎপাদন প্রক্রিয়া ঠিক রাখা- ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা তালিকা বেশ লম্বা। তার মধ্যেই যদি বাছাই করতে হয়। তাহলে অবশ্যই প্রথম সারিতে পড়বে ভিটামিন ডি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।