Healrt Health: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) প্রবণতা আজকাল কম বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে, এমনটাই জানান দিচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা এবং সমীক্ষা। ইতিমধ্যে যাঁদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু নিয়ম (Heart Health Tips) অতি অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কী কী করণীয় তা দেখে নেওয়া যাক।


নিয়মিত শরীরচর্চা- হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়ে থাকলে তারপর শরীরচর্চার ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। নিয়মিত শরীরচর্চা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সেটা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে। কোনওভাবেই নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে বা জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা না করাই ভাল। প্রয়োজনে হাঁটাচলা, হাল্কা যোগাসন, ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ এইসব অভ্যাস করুন। তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


পর্যাপ্ত ঘুম- প্রয়োজনে ঘুমের সময় বেঁধে নিন। অর্থাৎ কখন ঘুমোতে যাবেন, কখন উঠবেন- সবটাই চলুক নিয়মমাফিক। কারণ দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। এর পাশাপাশি সঠিক সময়ে ঘুমোনোর অভ্যাস থাকাও দরকার। কারণ সারারাত জেগে দিনে ঘুমোলে স্বাস্থ্যের অবনতিই হতে পারে। অতএব পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি ঘুমের সঠিক সময়ের দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।


স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া- এড়িয়ে চলুন তেলমশলা, ভাজাভুজি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করা দরকার। হার্ট অ্যাটাক একবার হয়ে গেলে অবশ্যই ধূমপান এবং মদ্যপানের থেকে বিরত থাকার প্রয়োজন। নাহলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবেই। এর পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে ওষুধপত্র খাওয়া প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ, অবসাদ এগুলোও দূর করা দরকার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোনওভাবেই অনিয়মিত এবং উশৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে চলবে না। এর পাশাপাশি নুন খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। অনেকেরই খাবার পাতে নুন খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। অবিলম্বে তা ত্যাগ করা উচিত। সময় থাকতে সতর্ক না হলে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। অজান্তেই বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 


ওজন কমান- শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে না দেওয়াই ভাল। অতিরিক্ত ওজন অনেকক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমানোর জন্য নিজে থেকে কিছু না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে মঙ্গলজনক। নিজের মতো ডায়েটিং বা শরীরচর্চা আপনার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 


আরও পড়ুন- হার্টের অসুখ, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল হাই হলে দিনে কতটুকু তেল খাওয়া যায় ?