কলকাতা: গত প্রায় আড়াই বছর ধরে আতঙ্কের আর এক নাম করোনাভাইরাস (Coronavirus) হয়ে গিয়েছে। কত মানুষ এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন। কত মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। কোভিড১৯-এর (Covid19) কতগুলি রূপ ইতিমধ্যেই আমরা দেখে ফেলেছি। কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসেরই অন্য আর এক ধরন কোভিড আর্ম-এর (Covid Arm) কথা। কী এই কোভিড আর্ম? কীভাবেই বা বুঝবেন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন?

কী এই কোভিড আর্ম?

করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর ভ্যাকসিন নেওয়ার স্থানে ব্যথা কিংবা চুলকানি অনুভব করছেন? তাহলে জেনে রাখুন, এই সমস্যা শুধুমাত্র আপনারই হচ্ছে না। আপনার মতো অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড আর্ম আসলে ক্ষতিহীন একটি অ্যালার্জির সমস্যা। যে টিকা আমরা করোনাভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিচ্ছি, তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এই অসুখ দেখা দিচ্ছে। টিকা নেওয়ার জায়গায় যদি ব্যথা অনুভব করেন, যদি লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে কোভিড আর্মে আক্রান্ত হয়েছেন।

কোভিড আর্মের লক্ষণগুলি কী কী ?

১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত কোভিড আর্মের সমস্যা দেখা দিলে টিকা নেওয়ার স্থানে চুলকানি হতে শুরু করে। 

২. ওই স্থান লাল হয়ে যেতে পারে, ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফুলে যেতে পারে।

৩. কোভিড আর্ম দেখা দিলে টিকা নেওয়ার স্থান স্পর্শ করলে উষ্ণ অনুভব করবেন।

আরও পড়ুন - Travel Tips: বাচ্চাকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? যে জিনিসগুলো সঙ্গে নিতে ভুলবেন না

৪. ভ্যাকসিন নেওয়ার জায়গা শক্ত দলা পাকানো কিছু রয়েছে বলে মনে হতে পারে। 

৫. ভ্যাকসিন নেওয়ার জায়গাটিতে ব্যথা যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে।

৬. কখনও কখনও কোভিড আর্ম দেখা দিলে ত্বকের চুলকানি বা ত্বকের সমস্যা হাতে এবং আঙুলেও ছড়াতে পারে।

কেন কোভিড আর্ম দেখা দেয়?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিড ১৯-এর টিকা আমাদের এই মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু কোনও কোনও রোগীর শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে। ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেই টিকা নেওয়ার জায়গায় চুলকানি থেকে লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, ২০ থেকে ২৫ দিনের বেশি এই সমস্যা থাকে না। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিতসকের পরামর্শ না নিলে দীর্ঘদিন এই সমস্যা ভোগাতে পারে। যদি সময়ে এই সমস্যা কমে না যায়, তাহলে দ্রুত চিকিতসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।