কলকাতা: ফিট থাকতে কে না চায়। ফিটনেসের (Fitness) জন্য বহু মানুষ অনেক নিয়ম মেনে চলেন। নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া থেকে শরীরচর্চা, সমস্ত কিছু। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফিটনেস ধরে রাখতে গেলে অনেক নিয়ম মেনে চলা দরকার। এর মধ্যে অত্যন্ত জরুরি হল খাদ্যাভ্যাস। খাদ্যাভ্যাস যদি সঠিক না হয়, তাহলে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যে। শরীরচর্চা করার আগে এবং পর কী খাবেন, তা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে শুধুমাত্র ভুল খাবার বেছে নেওয়ার জন্য শরীরচর্চার গোটাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।


শরীরচর্চা করার পরে যে খাবারগুলি খাওয়া উচিত নয়-


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরচর্চা করার পর একেবারেই কাঁচা সবজি খাওয়া উচিত নয়। শুনে কিছুটা অবাক লাগল নিশ্চয়ই? অনেকেই মনে করেন, শরীরচর্চার পর স্যালাডজাতীয় খাবার খেলে তা স্বাস্থ্যকর। গাজর, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অবশ্যই। কিন্তু শরীরচর্চা করার ঠিক পরই তা খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।


২. ফাস্ট ফুড এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর তা যদি হয় শরীরচর্চা করার ঠিক পরই, তাহলে তা স্বাস্থ্যে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। জিভে জল আনা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিজ বার্গার বা ওই জাতীয় খাবার শুনেই খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারী নয়। হজমশক্তি কমিয়ে দিয়ে তাতে প্রভাব ফেলে। এছাড়াও এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক।


৩. নোনতা জাতীয় কোনও স্ন্যাক্সও খাওয়া চলবে না শরীরচর্চা করার পর। আলুর চিপস কিংবা নোনতা কোনও চিপস খেতে ভালোবাসেন অবশ্যই। কিন্তু এগুলি ফিটনেসের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শরীরচর্চা করার পর এগুলি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


আরও পড়ুন - Lifestyle: অনেক পরিশ্রম করেও সাফল্য আসছে না কিছুতেই? এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন


৪. পিৎজ্জা। নাম শুনেই জিভে জল এসে গেল নিশ্চয়ই? অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, শরীরচর্চা করার পর এই খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না।


৫. শরীরচর্চা করার পর ঘেমে নেয়ে একাকার? ভাবছেন সোডা কিংবা সফট ড্রিঙ্কে চুমুক দিয়ে গলাটা ভিজিয়ে নেবেন? তাহলে জানুন, বিশেষজ্ঞরা এই সমস্ত খাবার থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। শরীরচর্চা করার পর এই ধরনের ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এককথায় অসুস্থতাতে নিজে আমন্ত্রণ জানানো।


৬. মিল্ক চকোলেট স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু তা শরীরচর্চা করার পর খাওয়া উচিত নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।