করোনা সংক্রমিত স্বাস্থ্য ভবনের কোভিড কন্ট্রোল রুমের ১৪ কর্মী, মৃত্যু হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকের, মালদায় আক্রান্ত মহকুমাশাসক, থানার কর্তা
অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও কর্মীদের কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ...
কলকাতা: স্বাস্থ্য ভবনের করনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি সেল-ওয়ান এবং সেল-টু'র কর্মীরাই এখন খোদ করণাতে আক্রান্ত। আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ির কাছাকাছি। শুধুমাত্র করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি সেলর ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এমন খবর স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে মঙ্গলবার সকালে মিলেছে। অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও করনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই সেলের করনা আক্রান্ত কর্মীদের কাজ চালিয়ে যেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সেল ওয়ান এ এই মুহূর্তে কাজ বন্ধ হবার মুখে। কারণ ওই সেলে কাজ করা চিকিৎসক, সাইকোলজিস্ট এবং কর্মীদের ১৫ জনের টিমের মধ্যে ১৩ জন করনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোনরকম আইসোলেশন না পাঠিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ।
এদিকে সেল টুর ১৫ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ মিলেছে। প্রতিটি সেললে ১৫ জন করে কাজ করেন । ওই টিমে চারজন করে চিকিৎসক রয়েছেন।রয়েছেন মনোবিদ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে অভিযোগ জমা পরল স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের কাছে।
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু আরও এক পুলিশ কর্মীর। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকের মৃত্যু। ৯ দিন ধরে ভুগছিলেন অসুস্থতায়। ৩ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। ৩ দিন আগেই সংক্রমণ ধরা পড়ে ওই পুলিশ আধিকারিকের।
মালদায় ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৮ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন এক মহকুমাশাসক ও একটি থানার শীর্ষ আধিকারিক। মহকুমাশাসককে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। এদিকে, আগামীকাল থেকে সাতদিনের জন্য ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদা ও কালিয়াচক - এই তিনটি থানা এলাকায় লকডাউন।