নয়াদিল্লি: আজ মধ্যরাত থেকে বাড়ির বাইরে বেরোনো যাবে না। রাত ১২টা থেকে সারা দেশে লকডাউন। তবে জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। লকডাউনের আওতার বাইরে থাকছে ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুল্যান্স, ক্লিনিক, ল্যাব, গ্যাস, পেট্রোল পাম্প, বিদ্যুৎ‍ সরবরাহ, ব্যাঙ্ক-এটিএম, বিমার অফিস, টেলিকম, ইন্টারনেট, কেবল সার্ভিস, তথ্যপ্রযুক্তি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, মুদিখানা, রেশন দোকান, ফল-সব্জি-দুধ-মাংস-মাছ-প্রাণী খাদ্য, পুরসভার জল ও সাফাই বিভাগ, পুলিশ, দমকল, সংবাদমাধ্যম, ট্রেজারি, জেলা প্রশাসন, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, হিমঘর।

আজ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘এই লকডাউনকে একরকম কার্ফু বলা যেতে পারে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। অন্তত ২১ দিনের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন। এই ২১ দিন লকডাউন না মানলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। এই ২১ দিনের জন্য বাইরে বেরোনো ভুলে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।’

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে সবার বাড়ির দরজায় সবজি, দুধ, ফল, ওষুধ এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। কারও বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার ১০ হাজার গাড়ির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি সরবরাহ করবে।