নয়াদিল্লি: কাল থেকে দিল্লিতে আংশিকভাবে খুলছে স্কুল। আজ এই ঘোষণা করেছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাই স্কুলে যেতে পারবে। বাকিরা আপাতত স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।


সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘৯ অগাস্ট থেকে দিল্লিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য আংশিকভাবে খুলছে স্কুল। ভর্তি প্রক্রিয়া, কাউন্সেলিং, পড়াশোনা বিষয়ক পরামর্শ, প্র্যাকটিক্যালের কাজ, বোর্ডের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য স্কুলে যেতে পারবে পড়ুয়ারা।’ 


গত ২৮ জুলাই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়া স্কুল খোলার বিষয়ে অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ বিভিন্ন মহলের পরামর্শ চান। গত বছরের মার্চ থেকে বন্ধ সব স্কুল। এতদিন পরে আংশিকভাবে খুলছে স্কুল। 


গত বছর করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ার পর যখন প্রথমবার লকডাউন জারি হয়, তখন থেকে বন্ধ ছিল সব স্কুল। এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য খোলা হয় স্কুল। কিন্তু তারপর দিল্লিতে ফের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সব স্কুল। এখন দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমে যাওয়ায় ফের খোলা হচ্ছে স্কুল। 


দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী শিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লিতে এখন করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। টানা দু’বছর শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা স্কুল খোলার বিষয়ে জানতে চাইছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই আংশিকভাবে খোলা হচ্ছে স্কুল। 


দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই খুলেছে স্কুল। তবে শুধু উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আরও কয়েকটি রাজ্য জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে পারবে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুজোর পর স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে সরকার। একদিন অন্তর স্কুলে পঠনপাঠন চালু হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসকরা। সবারই মতে, পড়ুয়াদের স্বার্থে স্কুল খোলা উচিত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা বাড়িতে থেকেও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। তাই স্কুল বন্ধ না রেখে অন্যভাবে সতর্কতা বজায় রাখা উচিত।