DRDO COVID-19 Hospital: আমেদাবাদে আট দিনে ৯০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল গড়ে তুলল ডিআরডিও
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) আমেদাবাদে গুজরাত সরকারের সহযোগিতায় মাত্র আট দিনে তৈরি করে ফেলল ৯০০ বেডের হাসপাতাল। শনিবার থেকেই এই হাসপাতালে কোভিড আক্রান্তদের ভর্তির কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আমেদাবাদ : ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) আমেদাবাদে গুজরাত সরকারের সহযোগিতায় মাত্র আট দিনে তৈরি করে ফেলল ৯০০ বেডের হাসপাতাল। শনিবার থেকেই এই হাসপাতালে কোভিড আক্রান্তদের ভর্তির কাজ শুরু হয়ে যাবে। এই নিয়ে দেশে কোভিড আক্রান্তদের নিয়ে তৃতীয় হাসপাতাল গড়ে তুলল ডিআরডিও। এর আগে রাজধানী দিল্লি ও পটনায় ডিআরডিও-র কোভি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে যে, আমেবাদের গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ডিআরডিও ধন্বন্তরী কোভিড হাসপাতাল গড়ে তুলেছে। ৯০০ বেডের মধ্যে ১৫০ বেডে রয়েছে ভেন্টিলেটরের সুবিধা। বাকি ৭৫০ বেডেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। আজ সন্ধেতেই হাসপাতালের বন্দোবস্ত খতিয়ে দেখতে সেখানে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।
করোনা সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে সেনা
উল্লেখ্য, সেনা, আধাসেনা ও রাজ্য সরকারগুলির সাহায্যে ডিআরডিও সারা দেশে মোট ছয়টি কোভিড হাসপাতাল চালু করছে। এরমধ্যে দিল্লি ( ৪৫০ বেড সহ) ও পটনা ( ৫০০ বেড সহ) কোভিড হাসপাতালে পরিষেবা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, লখনউয়ে ৪৫০ বেডের হাসপাতাল ও বারাণসীতে ৭৫০ বেডের হাসপাতাল তৈরির কাজ জোর কদমে এগিয়ে চলছে।
এরইমধ্যে জানা গেছে, ভারতীয় বায়ুসেনা শুক্রবার লাদাখে কোভিড সেন্টার গড়ে তুলতে পুরো কোভিড সেট-আপ এয়ারলিফ্ট করে লে-তে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও বায়ুসেনার দুটি সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এয়ারক্র্যাফ্ট দুটি খালি লিন্ডে ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন সিলিন্ডাক পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে, একটি আইএল-৭৬ বিমান খালি আইনক্স কন্টেনারও পানাগড়ে পৌঁছে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ ! প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর ৷ মৃত্যু হয়েছে ২,২৬৩ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,৯৩,২৭৯ জন ৷ এখনও পর্যন্ত দেশে ১৩,৫৪,৭৮,৪২০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৷