সিঙ্ঘু সীমানায় করোনা আক্রান্ত কৃষকের মৃত্যু, আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (কিষাণ সরকার)-এর মুখপাত্র ভোপাল সিংহর দাবি, দুই কৃষক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দাপট। প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন অনেকেই। এরইমধ্যে গত বছর সংসদে অনুমোদিত তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। দিল্লির প্রবেশ পথগুলিতে গত কয়েকমাস ধরেই এই আন্দোলন চলছে। করোনার থাবা পড়েছে কৃষক আন্দোলনেও। দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমানায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন কৃষক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে।
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (কিষাণ সরকার)-এর মুখপাত্র ভোপাল সিংহর দাবি, দুই কৃষক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
সংবাদসংস্থার খবর অনুসারে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (কিষাণ সরকার)-এর ভোপাল সিংহ বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে সিঙ্ঘু সীমানায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। দেশে যে সংকট চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি কৃষকদের আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেছেন, কৃষকরা বাঁচলে তো আমাদের অন্নদাতা বলা হবে। আমাদের জীবন ও ফসল রক্ষা করতে পারলে আমাদের তা বলা হবে। আমরা ভবিষ্যতে আন্দোলন করব। এখন আন্দোলনের সঠিক সময় নয়। কঠিন এই সময়ে আমাদের দেশের পাশে থাকতে হবে।
এর আগে গত বুধবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা তাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা না নিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারা কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা শুরু করা ও তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সংসদে গত বছর তিনটি কৃষি আইন পাস হয়েছিল। এই আইনগুলির বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির বাইরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
এখনও পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে ১১ দফার আলোচনা হয়েছে আন্দোলনকারীদের। কিন্তু অচলাবস্থা কাটাতে। কৃষকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। তাঁর তিন কৃষি আইন বাতিল ও ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে নিশ্চয়তার দাবিতে অনড়।