IAS Officer Transfer:বদলির নির্দেশ সম্পর্কে কথাবার্তা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার আইএএস অফিসারকে নোটিস
এর আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় অতিরিক্ত কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৫৪ মাসের মধ্যে এই নিয়ে নয়বার বদলি করা হয় জানগিড়কে। তাঁর এক সহকর্মী জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের পদস্থ মহিলা আধিকারিক জানিয়েছেন, জানগিড়কে গত বুধবার এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভোপাল: বদলির নির্দেশ এসেছে। এতে বিরক্তি প্রকাশ করে সহকর্মীর সঙ্গে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ায় করায় এক আইএএস অফিসারকে নোটিস। লোকেশ কুমার জানগিড় নামে ওই আইএএস অফিসারকে ভোপালের রাজ্য শিক্ষা কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছিল গত মে মাসে।
এর আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় অতিরিক্ত কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৫৪ মাসের মধ্যে এই নিয়ে নয়বার বদলি করা হয় জানগিড়কে। তাঁর এক সহকর্মী জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের পদস্থ মহিলা আধিকারিক জানিয়েছেন, জানগিড়কে গত বুধবার এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে সাতদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই মহিলা আধিকারিক দীপ্তি গৌর মুখার্জী বলেছেন, বিষয়টি তাঁর আমার সঙ্গে কথাবার্তা সংক্রান্ত। আমার কাজ হল, টেলিফোনে তাঁদের বদলির কথা জানানো। কিন্তু তিনি ওই কথাবার্তা ট্যাপ করেন, যা আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল। এই কাজ একজন সরকারি অফিসারের কাছে কাঙ্খিত নয়।
সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ৩৫ বছরের ওই আইএএস আধিকারিক স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁর বদলি সম্পর্কে মুখার্জীর সঙ্গে কথপোকথনের ৩০ সেকেন্ডের মতো অংশ চার আইএএস সহকর্মীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, আমি ব্যক্তিগত চ্যাটে আমার চার সহকর্মীর সঙ্গে ওই অডিও শেয়ার করেছিলাম। জিএডি লিখিতভাবে আমার বদলির নির্দেশ জারি ও ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে আপডেট করার পর এমনটা হয়েছিল। তাঁরা এই আচমকা বদলির কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় আমি সরল বিশ্বাসে ও ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের আমি ওই অডিও শেয়ার করেছিলাম। আমি তাঁদের বলেছিলাম যে, আমাকে এর করাণ জানানো হয়নি। জিএডি সচিব আমাকে কী বলেছিলেন, তা জানাতে আমি অডিও শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু কোনও গ্রুপে তা শেয়ার করিনি।
জুনাগিড় আরও বলেছেন যে, আমি ভেবেছিলাম যে, এটি কোনও আচরণ সংক্রান্ত বিধিভঙ্গ নয়। কারণ, তা কোনও গোপন বা ব্যক্তিগত বিষয় ছিল না। এতে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়নি। এমনকী, তথ্যের অধিকার আইনেও বলা হয়ে থাকে যে, যেগুলি জনসমক্ষে থাকা উচিত, এমন তথ্য আধিকারিকদের প্রকাশ করা উচিত।
জানগিড় আরও বলেছেন, গত ১১ জুন রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লিখে তিন বছরের জন্য মহারাষ্ট্রে ডেপুটেশন চেয়েছিলেন। কারণ, তাঁর ৮৭ বছরের দাদু খুবই অসুস্থ ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত। তিনি আরও বলেছেন, এছাড়াও তাঁর বিধবা মায়ের দেখভালও করতে চান । ২০১৪ ব্যাচের আইএএস আধিকারিক জানগিড় মহারাষ্ট্রে পারভানি জেলার বাসিন্দা।