কাশ্মীর: মধ্যস্থতার কোনও প্রশ্নই নেই, লোকসভায় রাজনাথ, ওয়াকআউট বিরোধীদের
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জবাবদিহি দাবি করেন।
নয়াদিল্লি: কাশ্মীর নিয়ে করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বুধবারও উত্তাল সংসদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জবাবের দাবি নিয়ে বিরোধীদের তুমুল শোরগোলের মধ্যেই বিদেশমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানালেন, কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার কোনও প্রশ্নই নেই। এদিন রাজনাথ বলেন, যেমনটা এস জয়শঙ্কর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে হওয়া বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। তিনি যোগ করেন, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কোনও জায়গাই নেই। কারণ, তা সিমলা চুক্তির পরিপন্থী হবে। রাজনাথ আরও বলেন, জাপানে যখন মোদি-ট্রাম্পের বৈঠক হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ফলত, তিনি ভালভাবেই জানেন, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছিল। ফলে, তাঁর মন্তব্যের পর আর কোনও বিতর্ক থাকার কথা নয়। রাজনাথ যখন নিজের বক্তব্য পেশ করছিলেন, তখন বিরোধীরা তুমুল শোরগোল শুরু করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীনই বিরোধী সাংসদরা ওয়াকআউট করেন। তার আগে, প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হতেই ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জবাবদিহি দাবি করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের মন্তব্যে গোটা দেশ বিভ্রান্ত। ফলে, এখন সরাসরি ‘ঘোড়ার মুখ’ থেকে বক্তব্য শোনাটাই যথার্থ হবে। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে জবাব চাওয়ায় কোনও ভুল তো কিছু নেই। তাঁকে সংসদে এসে জবাব দিতে হবে। সোমবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, কাশ্মীরে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে তাঁকে অনুরোধ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার, সংসদে সরকারে তরফে সাফাই দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফে এমন কোনও অনুরোধ করা হয়নি।