Farmers' Protest Live Updates: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে অনশনের ঘোষণা কেজরিওয়ালের, তীব্র আক্রমণ অমরিন্দরের
Farmers' protest at Singhu enters 18th day. | কৃষকরা আজ দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের বিক্ষোভের রেশ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মহাত্মা গাঁধীর একটি মূর্তি খলস্তানি পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হল। কয়েকশো শিখ যুবক গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, ওহিও, নর্থ ক্যারোলিনার মতো অঞ্চলগুলি থেকে মিছিল করে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন। ভারত-বিরোধী এবং খলিস্তানপন্থী স্লোগান দেওয়া হয়। খলিস্তানপন্থীরা কৃপান হাতে মহাত্মা গাঁধীর মূর্তির গায়ে বিভিন্ন পোস্টার সেঁটে দেন। এই পোস্টারের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করা হয়। ভারতীয় দূতাবাস এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং তদন্তের দাবিও জানিয়েছে।
এদিকে, দিল্লির সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভ ১৮ দিনে পড়ল। কৃষকরা আজ দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁরা আগামীকাল অনশনে বসারও ডাক দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
নতুন কৃষি আইনের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা ভি হনুমন্ত রাও বলেছেন, ‘এই কৃষি আইন আত্মহননকারী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছেন।’
পাল্টা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, ‘কৃষকদের বিক্ষোভের নিয়ন্ত্রণ মাওবাদী ও কমিউনিস্টদের হাতে চলে গিয়েছে। তারা যাতে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে কৃষকদের।’
অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোম প্রকাশ জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য সরকারের সঙ্গে কৃষকদের পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
কৃষকরা অবশ্য তাঁদের দাবিতে অনড়। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু তার আগে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিঙ্ঘু সীমানায় অবস্থানকারী এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, ‘আমি গতকাল রাতে এখানে এসে পৌঁছেছি। রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে আরও অনেক কৃষক আসছেন। ১৬ ডিসেম্বর এখানে আরও ট্রলি আসবে।’
পঞ্জাব থেকে আসা দুই ভাই গাজিপুরে আন্দোলনকারীদের শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। তাঁদের একজন কর্ণবীর জানিয়েছেন, ‘আমি মোদিজির ভক্ত। আশা করি তিনি বুঝবেন, কৃষকদের ছাড়া দেশের উন্নতি হবে না।’