Tripura firing: ত্রিপুরায় বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বাংলাদেশী গরু পাচারকারীর, দেহ পেল পরিবার
Bangladeshi cattle smuggler killed in BSF firing: শনিবার ভোরে গরু পাচারকারীর মৃত্যু হলেও, দেহ নিতে চাইছিল না বিজিবি।
আগরতলা: ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হওয়া এক বাংলাদেশী গরু পাচারকারীর দেহ তুলে দেওয়া হল তার পরিবারের হাতে। কয়েকদিন আগেই এই গরু পাচারকারীর মৃত্যু হলেও, তার দেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। বিজিবি দেহ নিতে অস্বীকার করে। তবে শেষপর্যন্ত দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের টহলদারি চলাকালীন জওয়ানরা দেখতে পান, ১০-১২ জন গরু পাচারকারী ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছে। একই সময়ে বাংলাদেশের দিক থেকেও ১০-১২ জন গরু পাচারকারী ভারতের দিকে আসছিল। তাদের ধরতে যান বিএসএফ জওয়ানরা। কিন্তু তাঁদের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে গরু পাচারকারীরা। আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান জওয়ানরা। তাতেই এক গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়। তার নাম বাপ্পা মিয়া, বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। কিন্তু এরপর দেহ ফেরত নিতে অস্বীকার করে বিজিবি। ফলে জটিলতা তৈরি হয়। তবে বাংলাদেশের লোকজন বিজিবি ছাউনি ঘেরাও করে দেহ ফেরত নেওয়ার দাবি জানান। এরপর সোমবার বিকেলে দেহ ফেরত পায় পরিবার। মৃত গরু পাচারকারীর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গরু পাচারকারীর কাছ থেকে একটি ধারাল অস্ত্র, সীমান্তে বেষ্টনীর তার কাটার যন্ত্র এবং গরু পাওয়া যায়। গরু পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে এক বিএসএফ জওয়ান বিপদে পড়েছিলেন। তাঁকে কাটারি ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে গরু পাচারকারীরা। প্রাণ বাঁচাতে তিনি নন-লিথ্যাল পাম্প অ্যাকশন গান থেকে ২ রাউন্ড গুলি চালান। সেই গুলি এক গরু পাচারকারীর গায়ে লাগে এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বাকিরা পালিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তির দেহ ফেরত নেওয়ার জন্য একাধিকবার বিজিবি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শেষপর্যন্ত মৃতের বাবার হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বেলোনিয়ার দেবীপুর গ্রামে সন্দেহভাজন পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের সংঘর্ষ হয়। পাচারকারীরা ম্যাশেট নিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের আক্রমণ করে। পাল্টা তাদের লক্ষ্য করে স্টান গ্রেনেড ছোড়েন বিএসএফ জওয়ানরা।