Bengaluru on Coronavirus : অক্সিজেন সঙ্কটের মুখে ভিভিআইপিরাও, বেঙ্গালুরুতে বেসরকারি হাসপাতালের সামনেও ঝুলছে 'নো বেড' বোর্ড !
রাজনীতিবিদ, আমলা থেকে ফিল্মি দুনিয়ার তারকা, সবারই এক হাল। সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, বেসরকারি হাসপাতালেও পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন বেড। বেঙ্গালুরুতে অক্সিজেনের অভাবে রোগী ভর্তি বন্ধ করল বহু হাসপাতাল।

নয়া দিল্লি : সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অক্সিজেন পেতে নাভিশ্বাস উঠছে ভিভিআইপিদেরও। সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, বেসরকারি হাসপাতালেও পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন বেড। বেঙ্গালুরুতে অক্সিজেনের অভাবে রোগী ভর্তি বন্ধ করল বহু হাসপাতাল।
রাজনীতিবিদ, আমলা থেকে ফিল্মি দুনিয়ার তারকা, সবারই এক হাল। বেঙ্গালুরুতে অক্সিজেনের লাইনে বেহাল দশা ধনী-গরিবের। সূ্ত্রের খবর, প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ফোন যাচ্ছে ভিভিআইপি-দের। অক্সিজেন বেডের আবেদন করছেন সবাই। কিন্তু দিনের শেষে নিরাস হতে হচ্ছে তারকাদেরও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে কর্পোরেট হাসপাতালকেও বেড নেই বলে বোর্ড ঝোলাতে হচ্ছে।
কদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। মণিপাল হাসপাতালে বেডের জন্য আবেদন করেন তিনি । যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও হতাশ হতে হয়। শেষে অ্যাপোলো হাসপাতালে বেড জোগাড় করতে পারেন তিনি। একই অবস্থা হয় ইয়েদুরাপ্পার একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীরও। নিকট আত্মীয়ের জন্য হন্যে হয়ে অক্সিজেন বেড খোঁজেন তিনি। শেষে কোনওক্রমে অক্সিজেন জোগাড় করে বাড়িতেই আত্মীয়কে রাখতে হয় তাঁকে। পরে মাইসুরুতে স্থানান্তরিত করতে হয় আত্মীয়কে।
শুধু মন্ত্রী নন, একই অবস্থা হয়েছে তারকাদেরও। অভিনেতা অনিরুদ্ধ বিষ্ণুবর্ধন জানিয়েছেন, শুধু অক্সিজেন বা হাসপাতাল নয়, বর্তমানে বেঙ্গুলুরুতে ভাল ডাক্তারেরও অভাব রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক আমলাকেও ওই একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। বাড়িতে মহিলা অসুস্থ হওয়ায় সামনের হাসপাতালে ভর্তি করাতে যান তিনি। যদিও বাড়িতে অক্সিজেন দিয়ে মহিলার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেয় হাসপাতাল।
তবে বেঙ্গালুরুর চিন্তা আরও বাড়িয়েছে কালোবাজারি। এক অভিনেতা দাবি করেছেন, কাকিমার জন্য রেমডিসিভির আনতে গিয়ে আজব অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ডাক্তার তাঁকে ওই ওষুধ কেনার কথা বলেন। কোনও জায়গায় না পেয়ে কালোবাজারিদের থেকে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে একটা ইঞ্জেকশন কেনেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, কর্ণাটকে বর্তমানে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩,৪৯,৫১৫ জন। গত বছর করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও রাজ্যে সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১৫,৩০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০,৬১২ জন। একদিনে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৭০ জনের।






















