US Plane Inside Pics : আমেরিকার বিমানে ঠাসাঠাসি করেই রওনা আফগানদের, কাবুল থেকে ১২০ ভারতীয়র উড়ান
প্রায় ৬০০ আফগান আমেরিকার বিমান চেপে রওনা দেন। এদিকে আজ সকালে কাবুল থেকে রওনা দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। তাতে ১২০ জন ভারতীয় রয়েছেন।
কাবুল : তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই সেদেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। তালিবান আতঙ্কে নিজের মাটি ছেড়ে দূরে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টার ছবি দেখা গেছে গতকালই। গতকাল উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর পরও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের। এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। যা এ পর্যন্ত আফগানিস্তান সংকটের অন্যতম ভয়াবহ চিত্র হয়ে উঠে এসেছে। শুধু কী তাঁরাই ! যাঁরা কোনওক্রমে বিমানে উঠতে পেরেছেন, তাঁরাও প্রাণের তাগিদে ঠাসাঠাসি করেই বিমান গেছেন। করোনা-বিধি তো নেই-ই, প্রাণের ভয়ে কোনও রকমে বিমানে একফালি জায়গায় বসেই পাড়ি দিয়েছেন তাঁরা। এই অতিমারিতে সেই ছবি দেখলে শিউরে উঠতে হয়। প্রায় ৬০০ আফগান আমেরিকার বিমান চেপে রওনা দেন।এদিকে আজ সকালে কাবুল থেকে রওনা দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। তাতে ১২০ জন ভারতীয় রয়েছেন।
রবিবার রাতে আফগানিস্তান দখলের দাবি করে তালিবানরা। যার পর থেকেও গোটা দেশজুড়ে তীব্র আতঙ্ক। দ্রুত দেশ ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা আফগানদের। সোমবার সকাল থেকেই কাবুল বিমানবন্দরের একাধিক হৃদয়বিদারক দৃশ্য সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানের টারম্যাকে কার্যত লাফিয়ে, ঝুলে উঠে বিমানে ওঠার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন আফগান যুবকরা। তারপর বিমানবন্দরে তালিবানদের হানা, গুলি-চালনা, মৃত্যু ও তারপর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পথ ধরা মার্কিনিদের বিমানে উঠে পরার মরিয়া চেষ্টা ও সেখানেও মৃত্যু, সবমিলিয়ে আতঙ্ক ও মৃত্য়ুপুরীর এক ভয়াবহ কবরখানা হয়ে উঠছে আফগানিস্তান।
এর মাঝেই একাধিক দেশের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানে থাকা তাদের বাসিন্দাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রবিবার সন্ধেয় নয়াদিল্লি এসেছেন বেশ কিছু ভারতীয় ও আফগান। তাঁদের চোখে-মুখে আতঙ্কে ও প্রাণ হাতে করে ভারতে পা রাখার স্বস্তি। আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা করার পর থেকেই ফের সেদেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে তালিবানরা। একের পর এক শহর দখল করে নিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে কাবুল দখল করে দেশ দখলের দাবি করা হয়।