Ahmedabad Plane Crash: পিছনে আগুনের গোলা, হেঁটে বেরিয়ে আসছেন আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ! ভাইরাল নতুন ভিডিও
Air India Plane Crash : এমার্জেন্সি এক্সিটের ঠিক পাশের আসন 11A-তে বসেছিলেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। কপাল জোরে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় তিনি বেঁচে ফিরেছেন।

আমদাবাদ : বিশ্বাসকুমার রমেশ। আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত ! গত ১২ জুন আমদাবাদ বি জে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান AI-171, বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার। যে ঘটনার একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। ইন্টারনেটে যা হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসছেন 'মিরাক্যাল ম্যান' রমেশ। পিছনের চত্বর ঢেকে গেছে কালো ধোঁয়ায়। ভিডিও অনুযায়ী, সেই সময় একটি সাদা টি-শার্ট পরেছিলেন রমেশ। বাঁ হাতে একটি মোবাইল ফোন নিয়ে বেরিয়ে আসছেন তিনি। স্থানীয়রা তার দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন, যাতে তাঁকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো যায়। পিছনে জ্বলছে বিমান।
এমার্জেন্সি এক্সিটের ঠিক পাশের আসন 11A-তে বসেছিলেন বিশ্বাসকুমার রমেশ। কপাল জোরে আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় তিনি বেঁচে ফিরেছেন। ঘটনার পর থেকে নিজের রক্ষা পাওয়াকে এখনও অবিশ্বাস্য ঠেকছে বছর ৪০-এর ব্রিটিশ-ভারতীয়র। নিজেই বলছেন, কীভাবে তিনি বেঁচে গেলেন তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না। দূরদর্শনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি জানি না কীভাবে আমি বেঁচে ফিরলাম। কিছুক্ষণের জন্য আমার মনে হয়েছিল, আমি হয়ত মরে যাব। কিন্তু, যখন আমি আমার চোখ খুলি, আমি দেখি আমি বেঁচে আছি। সিট বেল্ট খুলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। আমার চোখের সামনেই মারা গেলেন এয়ার হোস্টেস ও কাকু-কাকিমারা।"
তিনি কি হোস্টেল বিল্ডিংয়ে পড়েছিলেন ? উত্তরে রমেশ বলেছিলেন, "না, আমি মাটির কাছে ছিলাম, গ্রাউন্ড ফ্লোর, সেখানে জায়গা ছিল। তাই, সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। বিল্ডিং দেওয়া ছিল উল্টো দিকে এবং আমি মনে করি না কেউ এভাবে বেরিয়ে আসতে পারবেন।" বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, টেক-অফের মিনিট খানেকের মধ্যেই মনে হচ্ছিল বিমানটা আটকে গেছে। সবুজ ও সাদা আলো জ্বলছিল। ওঁরা (পালইলটরা) বিমানটা তোলার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু পূর্ণ গতিতে গিয়ে এটি বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ে।"
আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। টেকঅফের ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ১০ জন কেবিন ক্রু মেম্বার ও দুই পাইলট-সহ বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হয়। একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও। Ahmedabad Plane Crash























