Ahmedabad Plane Crash: ‘রাখে হরি মারে কে’, আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় রক্ষা পেলেন ১, হেঁটে উঠলেন অ্যাম্বুল্যান্সে!
Air India Plane Crash: হেঁটে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতেও দেখা যায় তাঁকে।

আমদাবাদ: 'রাখে হরি মারে কে' প্রবাদ সত্য প্রমাণিত হল। আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় রক্ষা পেলেন এক যাত্রী। ২৪২ জনই মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছিল প্রথমে। এবার জানা গেল, একজন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা ANI এই খবর সামনে এনেছে। জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তি। হেঁটে অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতেও দেখা যায় তাঁকে। (Ahmedabad Plane Crash)
রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিকে বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি বিমানের 11A আসনে বসে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্য শুরু হলে, হেঁটেই অ্যাম্বুল্যান্সে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। আমদাবাদের কমিশনার জিএস মালিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাক হতাহতের সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ একটি বিল্ডিংয়ের উপরে আছড়ে পড়ে বিমানটি। (Air India Plane Crash)
এই মুহূর্তে আসরওয়া সিভিল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রমেশ। ৪০ বছর বয়সি রমেশ নিজেই বেঁচে ফেরার কথা জানান। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "উড়ানের ৩০ সেকেন্ড পর তীব্র শব্দ শুনতে পেলাম। এর পরই আছড়ে পড়ে বিমানটি। সবকিছু দ্রুত ঘটে গেল।" রমেশের বুকে, চোখে এবং পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে।
This man walking in white shirt Mr. Vishwash Kumar Ramesh, Seat 11 A has survived the today's Air India plane crash in Ahmedabad, Gujarat. It's a miracle. He is the only one survivor confirmed by Ahmedabad Police. Thanks God. pic.twitter.com/gGLgt479m5
— Licypriya Kangujam (@LicypriyaK) June 12, 2025
রমেশ ব্রিটেনেরই বাসিন্দা। কয়েক দিনের জন্য ভারতে পরিবারের কাছে ফিরেছিলেন। ৪৫ বছর বয়সি দাদা, অজয়কুমার রমেশের সঙ্গে ব্রিটেন ফিরে যাচ্ছিলেন। ২০ বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন রমেশ। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও সেখানকারই বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে বোর্ডিং পাসটিও উদ্ধার হয়েছে। ফোনটিও অক্ষত রয়েছে বলে খবর। রমেশ বলেন, "উঠে দেখলাম, চারিদিকে দেহ ছড়িয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠে দাঁড়িয়েই দৌড় দিই। চারিদিকে বিমানের টুকরো ছড়িয়েছিল। কেউ একজন আমাকে টেনে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের দিকে আনল। তারাই হাসপাতালে নিয়ে আসে।" বিমান রানওয়ে ছাড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিপর্যয় নেমে আসে বলে জানান তিনি।
রমেশ জানিয়েছেন, দাদা এবং তাঁর আসন আলাদা আলাদা জায়গায় ছিল। তিনি বলেন, "আমরা দিউ গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গেই ফিরছিল। ওকে পাচ্ছি না আর। আমাকে সাহায্য় করুন ওকে খুঁজে বের করতে।" এই মুহূর্তে গুজরাতের হাসপাতালে কার্যত হাহাকার। সকলেই পরিবার-স্বজনদের খুঁজছেন। বিমানে ২৪২ জন সওয়ার ছিলেন, রমেশ বেঁচে ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে।
বিমানে সওয়ার ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও। তাঁর সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছে না। আরও বেশ কয়েক জন VVIP ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। বিমানটি এদিন ডাক্তারদের হস্টেলে ধাক্কা মারে। সেই সময় মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যেও অনেকে মারা গিয়েছেন বলে খবর। সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।






















