Anurag Thakur on Central University: লাদাখে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ায় অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানালেন অনুরাগ ঠাকুর
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
নয়া দিল্লি : উপত্যকায় শিক্ষার অগ্রগতিতে নজর কেন্দ্রের। এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ৭৫০ কোটি টাকায় ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই এলাকায় উচ্চশিক্ষার স্তরে ভারসাম্য আসবে। এর পাশাপাশি ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সার্বিক বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা লাদাখে ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-পারপাস কর্পোরেশনেরও অনুমোদন দিয়েছে। এই কর্পোরেশন পরিকাঠামোয় সাহায্য করবে। লাদাখে প্রধান নির্মাণকারী এজেন্সি হিসেবে কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর স্বাধীনতা দিবসে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, লাদাখে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হবে। ২০২১-২২ বাজেট বক্তৃতাতেও একই ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর প্রিন্সিপ্যাল ডিরেক্টর জেনারেল জয়দীপ ভাটনগর ট্যুইট করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অনুমোদন দিয়েছে। সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ২০০৯-এর সংশোধনের জন্য একটি বিল নিয়ে আসা হবে। "দ্য সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি(অ্যামেডমেন্ট) বিল ২০২১"-এর সংসদে উপস্থাপনার অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার মান বাড়বে। এর পাশাপাশি ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিও লাভবান হবে।
প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করে তার বিভাজন ঘটিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙা হয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীরে উন্নয়ন চোখে পড়ছে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে রাজ্যের পাথরবাজি প্রায় পুরোপুরি বন্ধই হয়ে গেছে।
শ্রীনগর ছাড়াও অনন্তনাগ, গান্দেরবল, কুপওয়ারায়ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বর্ষপূর্তিতে অনুষ্ঠান করেছেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। এর আগে সেখানকার বিডিসি সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের জন্য ২৫ লক্ষ করে টাকা পেয়েছেন। এছাড়া কাশ্মীর উপত্যকায় সব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়।