Arvind Kejriwal: এক মামলা শেষ না হওয়ার আগে ফের গ্রেফতার, এবার CBI হেফাজতে নিল কেজরিওয়ালকে
Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে, দিল্লির একটি আদালত কেজরিওয়ালের তিন দিনের CBI হেফাজতে অনুমোদন দিয়েছে।

কলকাতা: আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একদিকে ওই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্স মেন্টডিরেক্টরেট (ED)। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)ও তদন্তে নামল। আর গোড়াতেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করল তারা। অভিযুক্ত হিসেবে নয়, তবে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে প্রমাণ একত্রিত করাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছে CBI. (Arvind Kejriwal)
আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের মামলায় কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে, দিল্লির একটি আদালত কেজরিওয়ালের তিন দিনের CBI হেফাজতে অনুমোদন দিয়েছে। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়েছিল CBI. কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেত অনুমতি দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। কিন্তু হঠাৎ CBI কেন গ্রেফতার করল কেজরিওয়ালকে, এতে কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জির উপর কী প্রভাব পড়বে, সেই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। (Delhi Liquor Policy Case)
ED আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছে। কোন পথে টাকা গিয়েছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তারা। অন্য দিকে, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে CBI দুর্নীতি এবং ঘুষের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নেমেছে CBI. ED কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে PMLA আইনের আওতায়, যাতে দীর্ঘদিন হেফাজতে রাখা যায় অভিযুক্তকে। CBI মামলা দায়ের করেছে ২০২২ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে। এক্ষেত্রেও জামিন পাওয়া দুষ্কর। যদিও অভিযুক্ত হিসেবে কেজরিওয়ালের উল্লেখ করেনি তারা।
এর আগে, এপ্রিল মাসে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় CBI. তাঁর আইনজীবীদের দাবি, সাক্ষী হিসেবে কেজরিওয়ালকে তলব করা হয়েছিল, অভিযুক্ত হিসেবে নয়। দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম নেই কেজরিওয়ালের। তাই দুর্নীতি এবং ঘুষের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে CBI-কে।
আদালতে CBI-এর আবেদনের বিরোধিতা করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী। কী কারণে কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে কেজরিওয়ালকে জেলে আটকে রাখা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতার বক্তব্য, "কেজরিওয়াল যাতে কোনও ভাবে বেরোতে না পারেন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে, স্বৈরতন্ত্র চলছে।" সুনীতার দাবি, ২০ জুন কেজরিওয়ালের জামি মঞ্জুর হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ED তাতে স্থগিতাদেশ আদায় করে নেয়। আর তার পরই CBI গ্রেফতার করল, যাতে কেজরিওয়াল বেরোতে না পারেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
