পুণের স্যানিটাইজার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু ১৮ জনের, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির
জানা গিয়েছে, কারখানায় মজুত ছিল প্রচুর প্লাস্টিকও। সেই কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পুণের একটি কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। গতকাল দুপুরে জল পরিশোধনের কেমিক্যাল তৈরির ওই কারখানায় আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, কারখানায় মজুত ছিল প্রচুর প্লাস্টিকও। সেই কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দমকলকর্মীরা ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সূত্রের খবর, এখনও নিখোঁজ ১০ জন।
জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার নাম এসভিএস অ্যাকোয়া টেকনোলজিস। ওই সংস্থার কারখানা পুণেতে রয়েছে। হঠাৎ করেই সোমবার দুপুরের পর কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্যানিটাইজার তৈরিতে প্রয়োজন হয় অ্যালকোহল, যা আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলে ওঠে। কারখানায় মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল। মজুত থাকা অ্যালকোহলের জেরেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। সঙ্গে সঙ্গে তা মারাত্মক রূপ নেয়।
অগ্নিকাণ্ডে এতজনের প্রাণহানির ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, মহারাষ্ট্রের পুণেতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রাণহানির ঘটনায়। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ট্যুইট করে রাষ্ট্রপতি লেখেন, পুণের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে মহিলা সহ শ্রমিকদের প্রাণ চলে গেল। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মৃতদেহ পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন? প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১২টি ইঞ্জিন। শ্রমিকদের উদ্ধারে আনা হয় জেসিবি মেশিনও। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় ওই কারখানায় কাজ করছিলেন অন্তত ৩৭ জন শ্রমিক। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে নামে দমকল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে দমকলবাহিনী।