Baba ka Dhaba Update: রেস্তোরাঁয় মেলেনি সাফল্য, পুরানো ধাবায় ফিরলেন "বাবা"
রেস্তোরাঁ ব্যবসা দাঁড়ায়নি। পুরানো খাবারের দোকান "বাবা কা ধাবা"য় ফিরলেন কান্তা প্রসাদ।
নিউ দিল্লি : ছোটো একটা খাবারের দোকান আর তা ঘিরে সংগ্রাম। কান্তা প্রসাদের এই লড়াইয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন ইউটিউবার গৌরব ওয়াসান। আর তার পরই রাতারাতি খ্যাতির আলোয় চলে আসা কান্তা প্রসাদের। পরে গৌরবের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, গৌরবের নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ । এইসব পর্ব পিছনে ফেলে ফের খুলল 'বাবা কা ধাবা'। এর আগে যে নতুন রেস্তোরাঁ কান্তা প্রসাদ খুলেছিলেন, তা না চলায় চার মাস আগে বন্ধ করে দিতে হয় তাঁকে।
এক সময় গৌরবের ভিডিয়োর হাত ধরেই জীবন-যাত্রার মান বদলায় কান্তা প্রসাদের। খ্যাতির আলোয় আসেন এবং অর্থনৈতিক অবস্থা বদলাতে শুরু করে। এহেন কান্তা প্রসাদের নতুন রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পুরানো ধাবায় ফেরাকে কীভাবে দেখছেন ইউটিউবার গৌরব ? তিনি বলছেন, কর্মর থেকে এজগতে বড় কিছুই নয়। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এবছর তাঁর মূল খাবারের দোকানটিকেও বন্ধ করে দিতে হয়েছিল কান্তা প্রসাদকে।
গত বছর গৌরব একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যাতে দেখা যায়, তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিন্তু, কেউ সাহায্য করে না। একথা বলতে বলতে চোখের জল ফেলেন কান্তা প্রসাদ। তিনি জানান, স্ত্রী এবং তিনি সারা দিন ধাবায় খাবার তৈরি করে তা বিক্রি করেন। গৌরবের তোলা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর এর হাত ধরে রাতারাতি "বাবা"র(কান্তা প্রসাদ) ভাগ্য বদলাতে থাকে।
শীঘ্রই বহু মানুষ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাঁর ধাবার বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যায়। মানুষ তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি ফেলে দেন। যে আর্থিক সাহায্য কান্তা প্রসাদ পেয়েছিলেন, তা দিয়ে একটা নতুন রেস্তোরাঁ খোলেন। যেখানে দুই শেফকেও কাজে নিযুক্ত করা হয়।
সংবাদ সংস্থা IANS-কে কান্তা প্রসাদের ৩২ বছরের ছেলে আজাদ জানিয়েছেন, লোকজন কম আসছিলেন। তাই চার মাস আগে রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খরচের তুলনায় উপর্জন কম হচ্ছিল। ভাড়া, কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ ও জলের বিল মেটাতে হচ্ছিল। রেস্তোরাঁটা খুলতে দেড় লক্ষর বেশি খরচ করতে হয়েছে। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, সব জিনিস ৩০-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আমার বাবা কখনই ধাবা ছেড়ে যাননি। গুজব ছড়িয়েছিল যে বাবা ধাবা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, বাবা ধাবায় ছিলেন, আছেন, থাকবেন। এখন অল্প কিছু লোক ধাবায় আসছেন।
তাঁর মতে, রেস্তোরাঁ চালাতে মাসে খরচ হচ্ছিল প্রায় ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু, আয় ছিল মাত্র ১৫ হাজার টাকা।
এবিষয়ে ওয়াসান বলেন, এনিয়ে কী বলব ? কর্মর থেকে বড় এপৃথিবীতে কিছুই নেই।