Mamata Bridge: মোতেরার ‘নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম’ থেকে কোচবিহারের ‘মমতা সেতু’, নাম ঘিরে ফের রাজনৈতিক তরজা
Cooch Behar News: ২০১৯ সালে উদ্বোধন হয়েছিল কোচবিহার ১ নম্বর ও দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের সংযোগকারী এই 'মমতা সেতু'র।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের (Cooch Behar News) দিনহাটায় বুড়াধরলা নদীর ওপর তৈরি ‘মমতা সেতু’র (Mamata Bridge) নামকরণ ঘিরে তৈরি হল নতুন বিতর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই সেতুর জন্য রাজ্যসভার সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। দাবি তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। জীবিত মুখ্যমন্ত্রীর নামে কীভাবে সেতুর নাম? কটাক্ষ বিজেপি-র (BJP)।
সেতুর নামকরণ করেছিলেন কুণাল ঘোষ
২০১৯ সালে উদ্বোধন হয়েছিল কোচবিহার ১ নম্বর ও দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের সংযোগকারী এই 'মমতা সেতু'র।এ বার তার নাম নিয়ে এবার বাগযুদ্ধে জড়াল তৃণমূল এবং বিজেপি।
কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণকান্ত বর্মনের অনুরোধে, এই সেতু তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যসভার সংসদ কুণাল ঘোষ। দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৮০ মিটার দীর্ঘ এই কংক্রিটের সেতু তৈরির ফলে উপকৃত প্রায় ১৬টি গ্রামের মানুষ। সেতুর নামকরণও করেছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এ নিয়ে যোগাযোগ করলে কুণাল বলেন, "জেলা পরিষদ সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মনের অনুরোধে আমি এই সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম। সাংসদ কোটার টাকায় এত বড় ব্রিজ কোথাও হয়নি। সেতুটির নাম মমতা সেতু রেখেছি।"
তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, "মমতা সেতু নামটি কুণালদার দেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে যেহেতু তিনি সাংসদ হয়েছিলেন, তাই তাঁর ফান্ডে তৈরি সেতুটির নাম মমতা সেতু।"
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নামে সেতুর নামকরণ ‘মমতা সেতু’ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, "সাংসদ কোটার টাকা সরকারি টাকা। সেতুর নাম মমতার নামে কেন? জীবিত মুখ্যমন্ত্রীর নামে সেতুর নামকরণ লজ্জার।সবই আসলে কুণাল ঘোষের তোষামোদের রাজনীতি।"
সেতুর নাম নিয়ে জোর তরজা তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে
গতবছর গুজরাতের মোতেরায় সর্দার পটেল স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে রাখা হয় 'নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম'। সেই নামকরণ নিয়েও তরজায় জড়িয়েছিল শাসক-বিরোধী। এবার এরাজ্যে কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি হল সেতুর নামকরণ ঘিরে। তা নিয়ে পরস্পরকে বিঁধতে শুরু করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।






















