WB Election 2021 News: বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব-সবই মেলে, বিজেপির রথ তো টেন স্টার হোটেল, কটাক্ষ মমতার, ভয় পেয়েছে তৃণমূল, পাল্টা পদ্ম শিবির
বিজেপির রথকে টেন স্টার হোটেলের সঙ্গে তুলনা করে আক্রমণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব---সবই মেলে বিজেপির রথে, কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রীর। বিজেপির রথযাত্রাকে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি।
আশাবুল হোসেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়,মালদা ও রায়গঞ্জ : বিজেপির রথকে টেন স্টার হোটেলের সঙ্গে তুলনা করে আক্রমণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব---সবই মেলে বিজেপির রথে, কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রীর। বিজেপির রথযাত্রাকে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি।
তোষণের অভিযোগের পাল্টা রথের ধরণ নিয়ে আক্রমণ।বাংলায় হাইভোল্টেজ ভোটের আগে ধর্মের নামে রাজনীতির যুদ্ধ তুঙ্গে। জগন্নাথের রথযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির রথযাত্রাকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর দিনাজপুর থেকে মালদা - দুই জনসভাতেই বিজেপির রথকে কটাক্ষ করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করলেন তৃণমূল নেত্রী।
রায়গঞ্জের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রথে বিজেপির নেতারা কেন থাকবে, তাঁরা কি জগন্নাথ-বলরামের থেকেও বড়? যুদ্ধের সময় রথ হয়। কৃষ্ণ অর্জুনের রথ টানতেন। দেবতারা সব চলে গেল, তার জায়গায় এরা এল! রাবন সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখেছি- সেটা যুদ্ধের-রাবণবধ। রামায়ণ-মহাভারত দুই ক্ষেত্রেই রথ আছে।
মালদায় তিনি বলেছেন, আমি ইস্কনের রথ টানি। রথযাত্রাকে সম্মান করি কিন্তু আপনাদের সম্মান করি। রথযাত্রাকে পুজো করি। আপনাদের পুজো করি না...বিজেপির নেতারা নিজেদের জগন্নাথ, সুভদ্রা, কৃষ্ণ বলে দিচ্ছেন।
বিজেপির রথকে আক্রমণ করতে এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রায়গঞ্জের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনারা কী করছেন? রথে বিরিয়ানি, মাংস-পোলাও, কাবাব। সাজ-বিশ্রাম-গানা থেকে শুরু করে সব রেডি। যেমন ১০ স্টার হোটেলে পাওয়া যায়।
বিজেপির পরিবর্তন যাত্রাকে ভয় পেয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে আক্রমণ শানাচ্ছেন।পাল্টা এমনই ব্যাঙ্গের সুর বিজেপির গলায়।
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগে সরব হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
জে পি নাড্ডা গতকাল তৃণমূলকে নিশানা করে বলেছিলেন, সরস্বতী পুজো করতে দেয় না। মহরম করতে দেয়। রাম মন্দিরের শিলান্যাসের দিন বাংলায় কার্ফু করেছিল।
রায়গঞ্জের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিলক কেটে ধর্মকে ভালবাসি বললে হয় না। আগে মানুষকে ভালবাসতে হয়। যারা দাঙ্গা করে, মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে- তাদের মুখে ধর্ম মানায় না। ধর্মের নামে অধর্ম করেছে।
সেই কবে নজরুল ইসলাম লিখে গেছেন-
‘এই হৃদয়ই সে নীলাচল, কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন,
বুদ্ধগয়া এ, জেরুজালেম এ, মদীনা, কাবা ভবন,
মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়,
এইখানে বসে ঈসা-মুসা পেল সত্যের পরিচয়’।
কিন্তু, নজরুলের সেই বাংলায় এখন হৃদয়ের গুরুত্ব বেশি, না কি ধর্মের নামে ভাগাভাগির রাজনীতির, তা নিয়ে জোর বিতর্ক।