Bharat Bandh 2021: কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে কাল দেশজুড়ে ধর্মঘট, জেনে নিন বিস্তারিত
আগামী ২৮ মার্চ হোলিকা দহন-এ কৃষকরা নতুন কৃষি আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আগেই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে, সেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
নয়াদিল্লি: আগামীকাল শুক্রবার দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলনের চার মাস আগামীকাল ২৬ মার্চ পূর্ণ হচ্ছে। এই দিনটিতেই সকাল ছয়টা থেকে সন্ধে ছয়টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করবে কৃষক সংগঠনগুলি।
কৃষকদের এই ভারত বনধে দেশজুড়ে রাস্তা, রেল, বাজার ও অন্যান্য জনবহুল স্থানে এর প্রভাব পড়তে পারে।
কৃষক নেতা বুটা সিংহ বুর্জগিল এরআগে বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চ আমরা সম্পূর্ণ ভারত বনধ পালন করব। ওই দিন তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলনের চার মাস পূর্ণ হবে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই ধর্মঘট পালন করা হবে।
আগামী ২৮ মার্চ হোলিকা দহন-এ কৃষকরা নতুন কৃষি আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আগেই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সহ যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে, সেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি ২৬ মার্চের ধর্মঘটকে সমর্থন জানাতে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। কৃষক নেতা দর্শন পাল বলেছিলেন যে, ধর্মঘটকে সফল করতে ও অন্নদাতাদের সম্মান জানাতে আমরা দেশবাসীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি।
অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে। ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিশাখাপত্তনম ইস্পাত প্রকল্পের বেসরকারিকরণে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবে।
অন্ধ্রের পরিবহণ, তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী পেরনি বেঙ্কটরামাইয়া বলেছেন, রাজ্য সরকার ইস্পাত প্রকল্পের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে এই সংস্থাকে ধরে রাখতে বিকল্পের উপায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দিল্লির বিভিন্ন প্রবেশ পথে কৃষকা গত চার মাস ধরে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। হাজার হাজার কৃষক, যাঁদের বেশিরভাই পঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের, গত চার মাস সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুরের মতো দিল্লির প্রবেশগুলিতে কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সম্পর্কে আইনি নিশ্চয়তার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।