'দিল্লির রাস্তা সিরিয়া, ইরাক হয়ে যাচ্ছে’, সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য বিজেপি সাংসদের
“দিল্লির রাস্তায় হিংসাকে উৎসাহ দিচ্ছে আপ এবং কংগ্রেস।”
নয়াদিল্লি: সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে আক্রমণ করতে গিয়ে এবার সিরিয়া, ইরাক প্রসঙ্গও টেনে আনল বিজেপি। এতদিন শীর্ষনেতারা স্রেফ পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে দিল্লির রাস্তায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকে সিরিয়ার দামস্কাস ও ইরাকের বাগদাদের সঙ্গে তুলনা করা হল। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি সাংসদ নরসিমা রাওয়ের বক্তব্য, “দিল্লির রাস্তায় হিংসাকে উৎসাহ দিচ্ছে আপ এবং কংগ্রেস। কয়েক সপ্তাহ আগেই দিল্লিকে মনে হচ্ছিল ইরাকের বাগদাদ, সিরিয়ার দামাস্কাস।”
সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাশ এবং তা কার্যকর করা। এতদিন বিজেপির কাছে এটা ছিল প্রতিশ্রুতি পালন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগে নিজেদের ইস্তেহারে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করার কথা বলেছিল বিজেপি। ২০১৯-এ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার ছয় মাসের মধ্যেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে তারা। এবার এই ইস্যু থেকে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেও মরিয়া গেরুয়া শিবির। যার উজ্জ্বল উদাহরণ দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। উন্নয়ন নিয়ে যত না কথা হচ্ছে, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা তার থেকে বেশি কথা বলছেন সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ নিয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ বিরোধিতা ও বিরোধীদের পাকিস্তান এবং ইমরান খানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। নাম ধরে ধরে রাহুল গাঁধী, অরবিন্দ কেজরীবালকে আক্রমণ শানিয়েছেন। শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে ‘স্পনসরড’ প্রচার বলেও মন্তব্য করেছেন শাহ। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিঁধতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে নাড্ডার সরাসরি অভিযোগ, কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের বিরুদ্ধে তদন্তের অমুমতি চাওয়া হলেও নিরুত্তর থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এবার দলের শীর্ষনেতাদের পথ অনুসরণ করলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ জিভিএল নরসিমা রাও। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে নিশানা করতে গিয়ে রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “আমরা শান্তি চাই। অনুমোদিত নয়, এমন কলোনিগুলোর ৪০ লক্ষ মানুষকে আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় এনে পরিষেবা দিতে চাই। একমাত্র বিজেপি এলেই দিল্লিতে উন্নয়ন হবে। দিল্লির মানুষ রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে চায়।”