এক্সপ্লোর
Advertisement
মার্সিডিজের সঙ্গে স্কুটারের ধাক্কা, মৃত্যু যুবকের, ৭৮টি গাড়ি ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার
কলকাতা: হাজরা রোডে মার্সিডিজের ধাক্কায় স্কুটার আরোহী যুবকের মৃত্যু। এরপরই পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনে ঢুকে ৭৮টি গাড়িতে ভাঙচুর। আতঙ্কে বাসিন্দারা।
সাত সকালে আবাসনের ভিতরে ঢুকে বেপরোয়া তাণ্ডব। একের পর এক গাড়িতে অবাধে ভাঙচুর। রেহাই পেল না মেয়র পারিষদের গাড়িও! পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর পর রবিবার কার্যত তাণ্ডব চলল পণ্ডিতিয়া রোডের একটি বহুতল আবাসনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত তিনটে নাগাদ দুই বন্ধুর সঙ্গে স্কুটারে চেপে হাজরা রোড ধরে যাচ্ছিলেন বছর বাইশের অভিজিৎ পাণ্ডে।সেই সময় পিছন থেকে একটি মার্সিডিজ এসে ওই স্কুটারে ধাক্কা মারে! ছিটকে পড়েন ৩ আরোহী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিজিতের!
খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। হাজরা রোডের বাসিন্দা অভিজিতের প্রতিবেশীরা চড়াও হন পাড়ারই এই আবাসনের নীচের পার্কিং লটে শুরু হয় ভাঙচুর। আতঙ্কে দরজা-জানলা বন্ধ করে দেন আবাসনের বাসিন্দারা। প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সুযোগে এভাবেই দীর্ঘক্ষণ চলে গুণ্ডামি। পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে হামলাকারীরা।
হামলাকারীদের দাবি, ঘাতক মার্সিডিজটি এই আবাসন থেকেই বেরিয়েছিল, আর তারপরই হাজরা রোডে দুর্ঘটনা। যদিও আবাসনের বাসিন্দাদের অবশ্য বক্তব্য, গাড়িটি তাঁদের কারও নয়।
এই আবাসনেই থাকেন মেয়র পারিষদ তথা স্থানীয় পৌরপিতা দেবাশিস কুমার। তাঁর দাবি, মার্সিডিজটি আবাসনে এসেছিল, রেজিস্টার খাতা তাই বলছে।
আবাসনের বাসিন্দাদের তরফে লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ঘাতক মার্সিডিজটি একটি সংস্থার নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছিল।
যদিও অনেকেই বলছেন, প্রশ্ন উঠছে, মার্সিডিজটি যদি আবাসনের কারও হয়ও, তাহলে আইন মেনে পুলিশে অভিযোগ জানানো যেত। কিন্তু সেই পথে না হেঁট কেন আবাসনে হামলা হল? এখানকার বাকি বাসিন্দারা কী দোষ করলেন? কেন পরপর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আবাসনের ৭৮টি গাড়ি?
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
বিনোদনের
জেলার
Advertisement