(Source: Poll of Polls)
এত ভুঁড়ি কেন পুলিশের? রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
কলকাতা: এত ভুঁড়ি কেন পুলিশের? কী করছে সরকার? প্রশ্ন তুলে রাজ্যর কাছে হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। চলতি কথায় ভুঁড়ি বললেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শরীরের বিশেষ এই অবস্থাকে বলে ‘অ্যাবডোমেনাল ওবেসিটি’। যা সঙ্কেত দেয় নানা রোগের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াই নয়, ‘মধ্যপ্রদেশ’ স্ফীত হলে শরীর নামক মহাশয় আর কিছুই সইতে পারেন না। উল্টে হয়ে ওঠেন নানা জটিল রোগের আঁতুড়ঘর! এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অভিজিৎ চন্দ জানান, ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হাইপার টেনশন, ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভার-- এসবই হতে পারে যদি শরীরে ভুঁড়ি আস্তানা গড়ে। ২০০৭ সালে কলকাতা পুলিশের স্বাস্থ্যের ওপর গবেষণা করেন রাজ্যর একমাত্র সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এর কয়েকজন চিকিৎসক। তাঁদেরই একজন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ভুঁড়ি বাড়লে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা। পুলিশের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস রক্ষার জন্য কী কী নির্দেশিকা আছে? সেই সব নির্দেশিকা পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে রাজ্যসরকারের উত্তর জানতে চেয়েছে আদালত। উত্তর দেওয়ার জন্য আদালত কয়েক সপ্তাহ সময় দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। তার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, শারীরিক পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। যাঁরা কাজ করছেন দৌড়ঝাঁপ করে, ভুঁড়ি তাঁদের ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। আর যাঁদের কাজ বসে বসে, তাঁদেরই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে ভুঁড়ি। সেই সঙ্গে রোগও।