‘সম্পত্তির লোভেই’ খুন পর্ণশ্রীর প্রৌঢ়া, গ্রেফতার মেয়ে ও জামাই
কলকাতা: পর্ণশ্রীর প্রৌঢা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মেয়ে ও জামাই। সম্পত্তির লোভেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। পর্ণশ্রীর ফকিরপাড়ার এই দোতলা বাড়ির নীচের তলায় থাকতেন ৬৮ বছরের শিপ্রা ভট্টাচার্য। ওপরে মেয়ে ও জামাই। শনিবার সকালে নিচের ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার হয় প্রৌঢ়ার দেহ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল এটি আত্মহত্যা। পাওয়া যায় সুইসাইড নোট। কিন্তু গোটা ঘটনা বদলে যায় ময়না তদন্তের পর! জানা যায়, গলা টিপে খুন করা হয়েছে প্রৌঢ়াকে। তাঁর গলার একটি হার ভেঙে গিয়েছিল! খুনের সম্ভাবনা জোরাল করে, দেহের পাশ থেকে পাওয়া একটি খাতার পাতা! যাতে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার মেয়ে কিম্বা জামাইকে পুলিশ যেন বিরক্ত না করে। সূত্রের খবর, এর সঙ্গে মৃতার হাতের লেখার কোনও মিল পাননি তদন্তকারীরা! এরপরই নতুন একটি সূত্র বাড়তি মাত্রা দেয় তদন্তকে! জানা যায়, লেখাটি লেখা হয়েছে কোনও বাচ্চার ইংরেজি খাতার পাতা ছিঁড়ে! সন্দেহের তির ঘুরে যায়, মেয়ে ও জামাইয়ের দিকে! কারণ, তাঁদেরও একটি বাচ্চা রয়েছে। যে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র! ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় মৃতের জামাইকে। সকালে ধরা পড়েন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কেন এই খুন? পুলিশ সূত্রে দাবি, বাপের বাড়িতে থাকলেও, মা-মেয়ের বনিবনা ছিল না। মায়ের সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন মেয়ে! যদিও এটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। সে কারণেই, দেহের পাশে রাখা হয়েছিল জাল সুইসাইড নোট, যাতে আবার ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল মেয়ে ও জামাইকে! কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সে জন্য প্রথমে একজন রিকশাওয়ালাকে প্রথমে বাড়িতে ডাকা হয়েছিল। যাতে এটা প্রমাণ হয়, যে বাইরের লোকের সামনে দেহ উদ্ধার হয়েছে! কিন্তু এত কৌশল নিয়েও পুলিশের চোখে ধূলো দেওয়া যায়নি!