প্রেসিডেন্সিতে আসন-শূন্যতা: 'কয়েকজন আমাকে পছন্দ করেন না', উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার জবাবে ‘সংঘাতের’ গন্ধ
কলকাতা: কিছুদিন ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। আসন-শূন্যতা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ। সরকারের দেওয়া টাকা কীভাবে খরচ, তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অডিটের ভাবনা। এরপরও বিস্ফোরক উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর অধিকার আছে ক্ষুব্ধ হওয়ার। ৩০০ নয়, ৫০টি আসন ফাঁকা। কী কারণে, কীভাবে সরকারকে লিখে জানিয়েছি। শনিবার প্রাক্তনী সংসদের প্রতিনিধিরা শিক্ষামন্ত্রীকে নালিশ করেন, ঠিকমতো চলছে না প্রেসিডেন্সি। যতটা ঝাঁ চকচকে হয়েছে, ততটা মানোন্নয়ন হচ্ছে না। এমনকী, প্রাক্তনী সংসদের দাবি মেনে প্রেসিডেন্সিতে অডিট করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই প্রেক্ষিতে অনুরাধা লোহিয়া বলেন, জানি না বিতর্ক কেন। ওরা চাইলে আজই হিসেবের কাগজ দিতে পারি। ধারাবাহিকভাবে শিক্ষক ছাড়ার ঘটনাও মানতে নারাজ প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যর দাবি, পাঁচজন শিক্ষক গেছেন, ৪৫ জন এসেছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগও শোনা গিয়েছে উপাচার্যর মুখে। তিনি বলেন, পাবলিক আমার সম্পর্কে কী ভাবে, সেটাই বড় কথা। কয়েকজন আমাকে পছন্দ করেন না। তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক পারনেসপশন তৈরি হচ্ছে। আমি কোনও ভুল করিনি। কাজ দিয়ে লড়াই করব। মেয়াদ শেষের ৬ মাস আগে উপাচার্যের এহেন দাবি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ, সরকারের বার্তার পরও তিনি অনড় থেকে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, তাকে সংঘাতের সিঁদুরে মেঘ বলেই মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ। সরকারি সূত্রে খবর, যেভাবে এবার শূন্য আসন পূরণ করা সম্ভব নয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ উচ্চশিক্ষা দফতর। এই সপ্তাহের মধ্যেই উপাচার্যকে ডাকতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। সব মিলিয়ে নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই এখন নজর শিক্ষামহলের।